জুমবাংলা ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ভালোবেসে বিয়ের ৫ মাসের মাথায় মোছা. কুহিনুর আক্তার নিতু নামের এক গৃহবধূকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে উপজেলার চরচারতলা ইউনিয়নে ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে।
নিহত কুহিনুর আক্তার নিতু একই এলাকার মো. আবুল হোসেন মিয়ার মেয়ে। অভিযুক্তর নাম মো. জুয়েল। তিনি ওই এলাকার মো. আবুছান মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত কুহিনুর আক্তার নিতু ও মো. জুয়েল দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। পাশাপাশি বাড়ি হওয়ার সুবাদে দুজনের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক ছিল। কিন্তু জুয়েল মাদকাসক্ত হওয়ায় কুহিনুরের পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। পরে উভয়ই পরিবারের পছন্দ মতো আলাদা জায়গায় বিয়ে করেন।কিন্ত বিয়ের কিছু দিনের মধ্যে কুহিনুরের সংসার ভেঙ্গে যায়। এদিকে দুই সন্তানের বাবা হওয়ার পর জুয়েলের সংসারও ভেঙ্গে যায়। এরপর দুজনের মধ্যে আবারও সর্ম্পক তৈরি হয়।পরবর্তীতে তাদের চাপে পড়ে দুই পরিবার পাঁচ মাস আগে দুজনের বিয়ে দেয়।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে জুয়েলের প্রতিবেশীরা তার ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকানো ও দরজায় রক্ত দেখতে পান। পরে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে চাদর দিয়ে ঢাকা অবস্থায় কুহিনুরের মরদেহ দেখতে পেয়ে তারা পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ জানায়, নিহত কুহিনুরকে বটি -দা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতারি কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বটি -দায়ের আঘাতে তার পেটের নাড়ি-ভুড়ি বের হয়ে গেছে। নিহতের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রাতেই লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত বটি-দা উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই জুয়েল পালিয়ে যান। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জুয়েলের বাবা আবুছান, ছোট ভাই কামরুল, মা রহিমা বেগম ও জুয়েলের অপর দুই ভাইয়ের বউকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।
নিহত কুহিনুরের বাবা মো. আবুল হোসেন জানান, ২ মাস আগে জুয়েল ব্যবসার জন্য ২ লাখ টাকা চেয়েছিল।
জুয়েলের বাবা আবুছান জানায়, তার ছেলে মাদকাসক্ত ছিল। কখন হত্যার ঘটনা ঘটেছে তা তিনি জানে না না। প্রতিবেশীর ডাকে তিনি রাত সাড়ে ১২টার দিকে বের হন এবং জুয়েলের ঘরে গিয়ে পুত্রবধূর লাশ দেখতে পান।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক শ্রীবাস চন্দ্র দাস বলেন, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার ও সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলাসদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে অসংখ্য আঘাত রয়েছে। সেই সঙ্গে গলা এবং ঘাড়ও কাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।