জুমবাংলা ডেস্ক : বিয়ে করা হলনা সুকুমারের। খেঁয়া পারাপারে টাকা না থাকায় মাঝি নৌকায় নিতে রাজি হয়নি, বাধ্য হয়ে সাঁতরে নদী পার হতে গিয়ে করুণ মৃত্যু হয় সুকুমারের (২৩)। সে পাইকগাছার লস্কর ইউনিয়নের খড়িয়া বাসাখালীরচক এলাকার পরিতোষ মন্ডলের ছেলে।
হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (৭ জুন) বিকেল ৫ টার দিকে মিনহাজ নদীর চৌমুহনী খেঁয়াঘাটে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার তার বিয়ের দিন নির্ধারিত ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ওয়ার্ড ইউপি সদস্য প্রকাশ মন্ডল জানান, উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের খড়িয়া বাসাখালীরচক এলাকার সুকুমার বেশ কিছুদিন যাবৎ তার নানাবাড়ি পার্শ্ববর্তী কয়রা উপজেলার তালবাড়িয়ায় অবস্থান করছিল। সেই সুবাদে সোমবার বিকেলে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে নানাবাড়ির উদ্দেশ্যে মিনহাজ নদীর চৌমুহনী খেঁয়াঘাটে আসে। তবে ঐ সময় তার কাছে কোন টাকা না থাকায় মাঝিকে বাকিতে খেঁয়া পারাপারের জন্য বলে। তবে এতে মাঝি অসম্মতি জানালে বাধ্য হয়ে সাঁতরে নদী পার হতে যায় সে। এসময় বৈরি আবহাওয়ায় উত্তাল নদীর অপর প্রান্তের কাছাকাছি পৌছালে ঘাতক ঢেউয়ের নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তার।
এসময় প্রত্যক্ষদর্শীরা মাঝিকে নৌকা ভিড়িয়ে তাকে উদ্ধারের কথা বললে মাঝি জানান, সে এলাকার রমেশ পাগল। নদীতে নিয়মিত সাঁতার কাটা ও মাছ-কাঁকড়া আহরণ তার নৈমিত্তিক কাজ। তবে এক সময় তাকে আর দেখা না যাওয়ায় ডাঙ্গায় খবর যায় রমেশের মৃত্যু হয়েছে। এমন খবরে এলাকাবাসী নদীতে তাকে ব্যাপক খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এক পর্যায়ে জাল দিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার হলে দেখা যায়, সেটি রমেশ পাগলের নয়, সুকুমারের।
লস্কর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কে.এম. আরিফুজ্জামান তুহিন জানান, খেঁয়া মাঝি কাশেম আলী টাকা ছাড়া পার করতে না চাওয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন।
এ ব্যাপারে খেঁয়া মাঝি কাশেম আলী জানান, আমার ঘাটে এমন ধরণের কোন লোক আসেনি। তবে ঝড়-বর্ষার সময় কে-কখন পার হয়েছে, তা আমার জানা নেই।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এজাজ শফী জানান, তার পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।