জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ার ধুনটে অন্যর ‘স্ত্রীর’ যৌতুক মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন টিএম আল জুবায়ের (৪৩) নামে বে-সরকারি কোম্পানির এক কর্মকর্তা। তিনি উপজেলার নসরতপুর গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, আল জুবায়ের গাজীপুর জেলা শহরে বেসরকারি কোম্পানি শরীফ মেলামাইন এ জোনাল ম্যানেজার পদে কর্মরত। তার শিক্ষা সনদের ফটোকপি কৌশলে হাতিয়ে নেয় নসরতপুর গ্রামের মৃত তাহের মণ্ডলের ছেলে জুয়েল মাহমুদ (৩৫)।
আল জুবায়েরের সেই শিক্ষা সনদের ফটোকপি দিয়ে জুয়েল মাহমুদ গাজীপুর এলাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি নেয়। এই সুবাদে একই কারখানায় কর্মরত আলমিনা খাতুন নামে মেয়ের সাথে জুয়েল মাহমুদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আলমিনা খাতুন কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের মেয়ে।
গত ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর জুয়েল মাহমুদ নিজের নাম গোপন করে শিক্ষা সনদ অনুযায়ী আল জুবায়েরের নাম ও পরিচয় ব্যবহার করে দুই লাখ টাকা রেজিস্ট্রি কাবিননামায় আলমিনাকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে। বিবাহের প্রায় তিন বছর পর জুয়েল মাহমুদ স্ত্রী আলমিনাকে ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়। আলমিনা তখন বিভিন্নভাবে খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে কাবিননামায় লিখিত নাম অনুসারে আল জুবায়েরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেয়ে আল জুবায়ের প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে আল জুবায়ের জানতে পারে, জুয়েল মাহমুদ তার শিক্ষা সনদের ফটোকপি কৌশলে হাতিয়ে নেয় এবং সেই নাম ব্যবহার করে আলমিনাকে বিয়ে করেছেন। বর্তমানে আল জুবায়ের আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। কিন্তু প্রতারক জুয়েল মাহমুদ আজও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
জুয়েল মাহমুদের মা মরিয়ম বেগম বলেন, দীর্ঘদিন যাবত জুয়েল মাহমুদ আমার খোঁজখবর রাখে না। তবে আল জুবায়েরের নাম ব্যবহার করে জুয়েল মাহমুদ যে প্রতারণা করেছে এ ধরণের অপকর্মের জন্য আমি আমার ছেলে জুয়েল মাহমুদের কঠিন শাস্তি চাই।
টিএম আল জুবায়ের বলেন, জুয়েল মাহমুদের প্রতারণার শিকার হয়ে আমার মানসম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তার প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পেতে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। এই প্রতারণার ঘটনায় জুয়েল মাহমুদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, আল জুবায়েরের জিডি তদন্ত করে সত্যতার প্রমাণ মিলেছে। জিডির প্রতিবেদন অনুযায়ী জুয়েল মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।