জুমবাংলা ডেস্ক : স্বামী বিদেশে। প্রতিদিন মোবাইলে খোঁজ নেয়া, স্বামীর পাঠানো টাকায় তিন সন্তানের লেখাপড়া ও সংসারের খরচ মিটিয়ে অল্প করে জমানো। সব মিলিয়ে ভালোই দিন কাটছিল হালিমার। অশান্তি শুরু হয় বছর খানেক পর। তৃতীয় ব্যক্তির আগমনে তছনছ হয়ে যায় তার সুখের সংসার।
এই তৃতীয় ব্যক্তি আর কেউ না। স্বামী জামালের বন্ধু ও হালিমার পরকীয়া প্রেমিক আরিফুল ইসলাম আরিফ।
হালিমা জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার লুটাবর গ্রামের জলিলের স্ত্রী। আরিফুল ইসলাম আরিফ পার্শ্ববর্তী মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের মকবুল হোসেনের ছেলে। ইমোতে পরিচয় ও দীর্ঘদিন কথা বলার এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে দুজনের মধ্যে।
হালিমা বলেন, আমাদের প্রেমের সম্পর্ক অনেক দিনের। আরিফ আমাকে বিভিন্ন সময় বিয়ের কথা বলে কয়েক ধাপে প্রায় ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমার স্বামী বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতেন। সেই টাকা আমি আরিফকে দিতাম। এখন আরিফ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে না, তাকাও ফেরত দেয় না। এ কারণে আমি ওর বাড়িতে এসেছি। আমার টাকা ফেরত দিলেই আমি চলে যাব।
আরিফের বাবা মকবুল হোসেন বলেন, আমি প্রথম ধাপে ৮০ হাজার টাকা নিয়েছি। এরপর বিভিন্ন সময় টাকা নিয়েছি। কত টাকা নিয়েছি জানা নেই। আমি জানতাম আমার ছেলে ওই টাকা হালিমার মাধ্যমে পাঠিয়েছে।
অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, আমি হালিকাকে বিভিন্ন সময় আমার বাড়িতে দেয়ার জন্য ব্যাংকে ও বিকাশে টাকা পাঠিয়েছি। সেই টাকা এখন নিজের বলে দাবি করছে সে।
ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বলেন, আমি এর আগে মেয়েটিকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছিলাম। শুনেছি আবার এসেছে। বৃহস্পতিবার মীমাংসার কথা বলেছি। দুই পক্ষ এলে আলোচনা করে মীমাংসা করা হবে।
মেলান্দহ থানার ওসি এমএম ময়নুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ভুক্তভোগী নারীকে আইনি সহায়তা দেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।