স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতের সেরা স্পিনারদের একজন হরভজন সিং সদ্যই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে তার চোখে সেরা অধিনায়ক কে, এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া হয়েছিলো হরভজনকে। ক্যারিয়ারে যাদের অধীনে খেলেছেন, তাদের মধ্যে দুই সেরা সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী ও মহেন্দ্র সিং ধোনিকে বেছে নিলেন এবং তাদের মধ্যে কে সেরা, পার্থক্য দিয়ে সেটি বুঝিয়েও দিয়েছেন হরভজন।
ভারতের সংবাদমাধ্যমকে হরভজন বলেন, ‘এটি আমার জন্য একটি সহজ উত্তর। ক্যারিয়ারে আমি যখন ‘কিছুই’ ছিলাম না, গাঙ্গুলী সেই সময়ে আমার ট্যালেন্টকে চিনে ছিলেন, সুযোগ দিয়েছিলেন এবং আমার উপর বিশ্বাস রেখেছিলেন। কিন্তু ধোনি যখন অধিনায়ক হন, আমি তখন ‘কিছু’ ছিলাম। তাই এটা থেকেই আপনাকে তাদের পার্থক্যটা বুঝতে হবে।’
১৯৯৮ সালে মোহম্মদ আজহারউদ্দিনের অধীনে অভিষেক হয়েছিলো হরভজনের। পরবর্তীতে গাঙ্গুলীর অধীনেই বেশি ম্যাচ খেলেছেন হরভজন। ২০০১-২০০৫ মেয়াদে গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে ১১৮টি টেস্ট ও ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন তিনি। সব মিলিয়ে ২৭৩টি উইকেটও নিয়েছেন হরভজন।
আর ধোনির অধীনে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১৩৩ ম্যাচে ২২৯ উইকেট নেন হরভজন। ধোনির অধীনে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি ও ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয় করেন হরভজন।
গাঙ্গুলীর প্রশংসা করে হরভজন আরও বলেন, ‘আপনার জীবনে এবং পেশায় এমন একজনকে প্রয়োজন, যে আপনাকে সঠিক সময়ে গাইড করবে এবং গাঙ্গুলী আমার কাছে সেই মানুষটিই ছিলেন। গাঙ্গুলী লড়াই করে আমাকে দলে না পেলে হয়তো আজ আপনি আমার এই সাক্ষাৎকারটি নিতেন না। গাঙ্গুলী সেই নেতা যিনি আমাকে তৈরি করেছেন।’
অবসর নেয়া হরভজনের অনেক আপেক্ষ ছিল-সরাসরি না বললেও আকার-ইঙ্গিতে তেমনটাই বুঝিয়ে দেন তিনি। হরভজন বলেন, ‘সব ক্রিকেটারই সমর্থন চায়। সঠিক সময়ে সমর্থনটা পেলে ৫০০ থেকে ৫৫০ উইকেট নেওয়ার পর অনেক আগেই আমি অবসর নিয়ে নিতাম। আমি তো মাত্র ৩১ বছর বয়সে ৪০০ উইকেট শিকার করেছি। আর তিন-চার বছর খেললেই আমি ৫০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছে যেতাম, তবে দুর্ভাগ্যবশত তা হয়নি।’
এই বিষয়ে হরভজন আরও বলেন, ‘এর পিছনে অনেক কারণ ছিল এবং সেই বিষয়ে কথা বলতে গেলে অনেক কিছু হারাতে হবে। যদি ৪০০ উইকেট নেওয়ার পর কারও সমর্থনের প্রয়োজন হয়, তাহলে আমি জানি না আমরা নিজেদের ক্রিকেটারদের কি নজরে দেখি। সমর্থন করা বা না করাটা নির্দিষ্ট কয়েকজনের ওপর নির্ভরশীল। ২০০১-০২ সালে গাঙ্গুলীর সমর্থনের পর ২০১২ সালে আমার সমর্থনের দরকার ছিল। সেটা পেলে আমার ক্যারিয়ার আরও সমৃদ্ধ হতে পারতো।’
১৯৯৮ সালের মার্চে টেস্ট অভিষেক হয় হরভজনের। একই বছরের এপ্রিলে ওয়ানডে ও ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় তার। দেশের হয়ে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন হরভজন।
১৮ বছরের ক্যারিয়ারে ভারতের হয়ে ১০৩ টেস্টে ৪১৭ উইকেট, ২৩৬ ওয়ানডেতে ২৬৯ উইকেট এবং ২৮টি টি-টোয়েন্টিতে ২৫ উইকেট নিয়েছেন হরভজন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।