জুমবাংলা ডেস্ক: ঢাকার পোস্তগোলা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে সোমবার সকালে লঞ্চডুবির পর এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ, আটজন নারী এবং তিনজন শিশু। খবর বিবিসি বাংলার।
লঞ্চের বাকি নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে এখনো উদ্ধারাভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন, দমকল বাহিনীর কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তা লিমা খানম।
এদিকে, ডুবে যাওয়া লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়া ময়ূর-২ লঞ্চটিকে জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ডুবে যাওয়া লঞ্চটিতে আনুমানিক ৫০-৬০ জন যাত্রী ছিল বলে জানা গিয়েছে।
পোস্তগোলা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের একটি দল এখনো উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
দমকল বাহিনী এবং পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যাচ্ছে, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে ‘মর্নিং বার্ড’ নামে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি ছেড়ে আসে।
এরপর সদরঘাটে এসে ঘাটে পৌছানোর কয়েক মূহুর্ত আগে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ নামে একটি বড় লঞ্চের ধাক্কায় এই দুঘর্টনা ঘটে।
ঘটনাস্থলের কাছের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ‘মর্নিং বার্ড’ নামে আকারে ছোট লঞ্চটিকে পেছন থেকে বড় সাদা একটি লঞ্চ ধাক্কা দিয়ে সামনে ঠেলে নিচ্ছে।
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ছোট লঞ্চটি পুরোপুরি উল্টে বড় লঞ্চটির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে।
বড় লঞ্চটির নাম ময়ূর-২। ডুবে যাওয়া মর্নিং বার্ড ঢাকা থেকে মুন্সীগঞ্জ রুটে চলাচল করে।
মূলত সদরঘাট, সোয়ারীঘাট এবং মিটফোর্ড এলাকায় ব্যবসাবাণিজ্য করেন, এবং মুন্সীগঞ্জ থেকে সকালে ঢাকায় এসে বিকেল-সন্ধ্যায় ফিরে যান এমন মানুষেরা নিয়মিত এই রুটে যাতায়াত করেন।
এদিকে, দুঘর্টনার পর নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।
তিনি সেখানে অভিযোগ করে বলেছেন, নৌযান শ্রমিকেরা নিয়ম-কানুন না মেনেই পরিবহন চালান, এবং এর ফলে নানা ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে।
এ সময় সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, সিসিটিভি ফুটেজের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজ দেখে একে দুর্ঘটনা নয়, বরং ‘হত্যাকাণ্ড বলে মনে হয়।”
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে তদন্তে যদি এমন প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
লঞ্চডুবির ঘটনা তদন্তে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী মি. চৌধুরী।
কমিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এছাড়া মৃত যাত্রীদের প্রত্যেকের পরিবারকে দেড় লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ও তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যেকের দাফনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মি. চৌধুরী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।