আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলে সন্দেহভাজন জিহাদিদের হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন। দেশটিতে গত জানুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর এটি ছিল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষগুলোর অন্যতম। সোমবার সরকারি মুখপাত্র লিওনেল বিলগো একথা জানান। খবর এএফপি’র।
বিলগো বলেন, ‘শনিবার রাতে সেতাঙ্গা গ্রামে ভয়াবহ হামলার পর সেনা সদস্যরা এ পর্যন্ত ৫০ জনের লাশ উদ্ধার করেছে।’ তিনি আরও বলেন, নিহতের সংখ্যা আরো ‘বাড়তে পারে।’
বিলগো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘নিহতের আত্মীয়-স্বজনরা সেতাঙ্গায় গিয়ে লাশ নিয়ে যেতে পারেন।’
ইইউ জানায়, এ হামলায় শতাধিক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা এ ভয়াবহ হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে।
ইইউ’র বৈদেশিক নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল এক বিবৃতিতে বলেন, ওই সন্ত্রাসী গ্রুপ এ হামলা চালাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমে আতঙ্ক সৃষ্টির পথ বেছে নেয়। আর এ জন্য তারা কোন একজনকে শিরñেদ করে হত্যা করে।
গত সপ্তাহে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ স্থল ছিল সেতাঙ্গা।
বৃহস্পতিবার সশস্ত্র বাহিনীর ১১ সদস্য প্রাণ হারান। এর জবাবে সামরিক বাহিনীর অভিযানে প্রায় ৪০ জিহাদি নিহত হন।
বিলগো বলেন, জিহাদিদের বিরুদ্ধে ‘সামরিক বাহিনীর অভিযানের প্রতিশোধ নিতেই সপ্তাহান্তের এ হামলা চালানো হয়।
তিনি বলেন, ‘দেশটি হামলার শিকার হওয়ায় তা দমনে সামরিক বাহিনী কাজ করছে।’
এ অঞ্চলে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন জানায়, হামলার ঘটনায় প্রায় তিন হাজার মানুষ ওই গ্রাম থেকে পালিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন শহরে আশ্রয় নিয়েছেন।
স্থলবেষ্টিত এ সাহেল রাষ্ট্রে সাত বছরের জিহাদি হামলায় দুই হাজারেরও বেশি লোক নিহত ও ১৯ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।