স্পোর্টস ডেস্ক : নব্বই দশকের পুরো সময় ও বর্তমান শতাব্দীর প্রথম ভাগে দেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে সমাদৃত ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। পেস বোলার কাম মিডল অর্ডার হিসেবে সাহস, উদ্যম ও লড়িয়ে মানসিকতারও বড় প্রতীক হিসেবে ধরা হতো সুজনকে।
তবে সুনাম-সুখ্যাতির বাইরে তাকে নিয়েও আছে সমালোচনা। বোর্ডে বেশি পদে অধিষ্টিত থাকা ও জাতীয় দলের ম্যানেজমেন্টের অংশ হয়ে সুজন নিন্দিত ও সমালোচিত। বিদেশি হাই প্রোফাইল কোচ থাকার পরেও তিনি কেন জাতীয় দলের ডিরেক্টর? সেখানে তার কাজ কী? কতটা দক্ষতার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন? তা নিয়েও আছে প্রশ্ন।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন আইসিসির ডেভেলাপমেন্ট বিভাগের হয়ে কাজ করা বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম।
সাক্ষাৎকারে বুলবুল জানান, বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর হিসেবে খালেদ মাহমুদ সুজন ব্যর্থ। পারফরম্যান্স খারাপ হলে ক্রিকেটারদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হলে সুজনকে কেন নয়! তার মতে, সুজনের কথাবার্তা দলকে বিরক্ত করে। গণমাধ্যমে এসব পড়ে বেজায় চটেছেন খালেদ মাহমুদ। সোমবার জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরুর দিনে তার এক সময়ের সতীর্থকে এক হাত নিলেন তিনি।
‘আমার যোগ্যতা… আমি বিসিবিতে আছি, আমি তো নির্বাচিত পরিচালক। ওখান থেকে আমাদের টিম ডিরেক্টর করা হয়েছে। বোর্ডের প্রেসিডেন্ট আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, উনি কেন আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন বলতে পারব না। এটা তো আমি চেয়ে নিইনি। আমি তো বাচ্চা না। আমি তো কাঁদবো না যে এটা লাগবে।’
‘ওনার কী যোগ্যতা আছে আমার ব্যাপারে কথা বলার? সেটাই আমি জানি না আসলে। উনার যোগ্যতা নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে। খেলা ছাড়ার পর থেকে আমি ক্রিকেটের সঙ্গেই আছি। ন্যূনতম একটা বেতনে সাড়ে ৪ বছর বিসিবিতে কাজ করেছি।’ – যোগ করেন সুজন।
সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে কাজ করার আগ্রহের কথা জানালেও প্রকৃতপক্ষে বুলবুলের মধ্যে সেই আগ্রহ দেখেননি সুজন। তার দাবি, ‘আপনাদের মাধ্যমে সব সময় শুনি, উনি বাংলাদেশে কাজ করতে চান। আমার তো এগুলো সম্পর্কে অনেক অভিজ্ঞ। আমি নিজেই উনাকে অফার দিয়েছি বাংলাদেশে কাজ করতে। উনি কোনোদিনই আমাকে জানাননি যে কাজ করতে চান। উনি প্রতিবারই এ রকম হাইপ তোলেন।’
বুলবুলের যোগ্যতার প্রশ্ন তুলে তার সঙ্গে নিজের তুলনাও দেন সুজন। তার ভাষায়, ‘উনি কোন আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ের সঙ্গে কাজ করেছেন? উনি আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের সঙ্গে একবারই কাজ করেছেন, যেবার আবাহনীতে কাজ করেছেন। এ ছাড়া উনি চীন, ব্যাংকক, ফিলিপাইন… ওখানে অনূর্ধ্ব-১৩, অনূর্ধ্ব-১৫ ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে কাজ করেছেন। ওখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কোথায় পেলেন। সুতরাং ওনার যোগ্যতাটা কোথায়? আমি অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। বাংলাদেশের হেড কোচও ছিলাম।’
সুজন মনে করেন, অন্যের যোগ্যতা নিয়ে কথা বলার আগে নিজের যোগ্যতা নিয়ে চিন্তা করা উচিত। বুলবুলকে সেই পরামর্শই দিয়েছেন তিনি, ‘একটা মানুষকে নিয়ে যখন বলব, তখন নিজের যোগ্যতা নিয়েও চিন্তা করা উচিত যে আমি কতটুকু পারি, না পারি। কে ভালো, কে খারাপ; এটা জাস্টিফাই করার অধিকার তার যেমন নেই, আমারও নেই। তাই এটা নিয়ে আমি বলতেও চাই না। উনি বড়, উনাকে সেই শ্রদ্ধাটা আমি সব সময় করি, করব।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।