জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার পর সহপাঠী থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই যখন ব্যথিত তখন নিশ্চুপ বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। তিনি সোমবার ক্যাম্পাসেও যাননি।
উপাচার্যের এ অনুপস্থিতিতে বিস্মিত হয়েছেন সবাই। দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে উপাচার্যকে মুঠোফোনে কল দেন অধ্যাপক জাফর ইকবাল খান। তখন উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) কল রিসিভ করে উপাচার্য অসুস্থ বলে জানান। এ জন্য তিনি ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন না।
এ সময় বুয়েটের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা এ রকম অমানবিক কোনো লোককে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে চান না চিৎকার করতে থাকেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘উনার মতো এ রকম অযোগ্য ও অমানবিক ভিসি তাদের প্রয়োজন নেই। ভিসি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক। সেই অভিভাবক নিজের শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পর্যন্ত নিচ্ছেন না। তিনি নিজের শারীরিক অবস্থার কথা ভাবছেন, শিক্ষার্থীদের কথা ভাবছেনই না। তার কাছে শিক্ষার্থীদের জীবনের কোনো মূল্যই নেই। এ সময় তারা ভিসির ওই পদে থাকার নৈতিক বৈধতা নেই বলে দাবি করেন।’
জানা যায়, রবিবার দিবাগত রাতে বুয়েটের শের-ই বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেছেন আবরারের বাবা। এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আবারার ফাহাদকে হ’ত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১১জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।