জুমবাংলা ডেস্ক: সব ধরনের সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দেয়ার শপথ নিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। এর মধ্য দিয়ে বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ডের পর মাঠের আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক ইতি টেনেছেন তারা। খবর ইউএনবি’র।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে বুয়েট মিলনায়নের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ৩৫০ জন শিক্ষার্থী গণশপথে অংশ নেয়। শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট ও কয়েকজন শিক্ষকও শপথ নেন।
বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফিয়া রিজওয়ানা শপথ পড়ান। শপথে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থান সম্মিলিতভাবে রুখে দেবেন তারা। নৈতিকতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সব ধরনের বৈষম্যমূলক অপসংস্কৃতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার তারা সমূলে উৎপাটন করবেন।
একই সঙ্গে সব ধরনের অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকারও শপথ নেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গত মঙ্গলবার আবরারের হত্যাকারীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও হত্যা মামলার অভিযোগপত্র জমা না দেয়া পর্যন্ত তারা শিক্ষা সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেন।
বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে (২১) ৬ অক্টোবর রাতে শের-ই-বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় চকবাজার থানায় মামলা করেন। পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত ১৬ আসামিসহ এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।