জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পর বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জামি উস সানি ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলের কক্ষ সিলগালা করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সভাপতি জামি উস সানি বুয়েটের আহসান উল্লাহ হলের ৩২১ নম্বর রুমে এবং সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল শেরে বাংলা হলের ৩০১২ রুমে থাকতেন। হলে ছাত্রত্বের বৈধতা না থাকায় তাদের রুমগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়।
আহসান উল্লাহ হলের ১২১ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগের অফিস ছিল। সেটাও সিলগালা করা হয়েছে।
বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক মিজানুর রহমান শনিবার নিজে গিয়ে এসব রুম সিলগালা করেন। আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ইতোমধ্যে রাসেল গ্রেফতার হয়েছেন।
অন্যান্য হলের ছাত্রলীগের ব্যবহৃত রুমগুলোও সিলগালা করা হবে বলেও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, তিনটি রুম সিলগালা করা হয়েছে। অছাত্রদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই অভিযান চলবে। হল প্রভোস্টরা হলগুলোতে অভিযান চালাবেন।
এর আগে বুয়েটের হলগুলো থেকে সিট দখলদারিত্ব উচ্ছেদ ও সাংগঠনিক ছাত্র সংগঠনগুলোর অফিস সিলগালা করার নির্দেশনা জারি করে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. সাইদুর রহমানের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, অবৈধভাবে যারা হলের সিট দখল করে আছে, তাদেরকে হলের সিট খালি করা, সাংগঠনিক ছাত্র সংগঠনগুলোর অফিস কক্ষ বন্ধ করে তা সিলগালা করার জন্য ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ব্যবস্থা নেবেন। শনিবার থেকেই এ কাজগুলো শুরু করতে বলা হয়। সে অনুযায়ী শনিবার রুমগুলো সিলগালা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, কোনো শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে র্যাগিং বা ছাত্র নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে ডিসিপ্লিনারি কমিটির মাধ্যমে তা দ্রুত বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।