বৃদ্ধার ঘরে আশ্রয় নিয়ে বৃদ্ধাকেই ধর্ষণ

জুমবাংলা ডেস্ক :বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার উত্তর আগরপুর গ্রামে পুলিশের হাত থেকে বাঁচার কথা বলে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধার ঘরে আশ্রয় নিয়ে তাকেই ধর্ষণের অভিযোগে মাদকাসক্ত যুবক জাকির সিকদারকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জাকিরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সে উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের আগরপুর গ্রামের খালেক সিকদারের ছেলে।

মামলার বাদী বলেন, আমরা ভাই-বোন ঢাকায় থাকার কারণে বৃদ্ধা মা বাড়িতে একা থাকতেন। এই সুযোগে প্রায়ই মাদকাসক্ত জুয়ারি জাকির তার সহযোগীদের নিয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী টিনের ছাপড়ার মধ্যে তাসের আড্ডা বসাতো। সেখানে বসে জুয়া খেলা ছাড়াও মাদকসেবন করতো। এসব কারণে কিছুদিন আগে জাকিরকে বকাঝকা করেন এবং পরবর্তীতে বাড়িতে এসে আবার নেশা ও জুয়ার আসর বসালে পুলিশে জানিয়ে দেবার কথা বলেন আমার মা। এতে ক্ষিপ্ত হয় তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখালেও কৌশলে প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করে জাকির।

সোমবার রাত ১০টার দিকে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আমার মাকে চাচি বলে সম্মোধন করে বাইরে ডাকে। ডাক শুনে বাইরে বের হলে পূর্বের সকল ঘটনার জন্য ক্ষমা চায় জাকির। এ সময় পুলিশ তাকে ধাওয়া করেছে বলে মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে রাতে আমাদের বাড়িতে থাকার জন্য আশ্রয় চায়। আমার মা সরল বিশ্বাসে ওই রাতে জাকিরকে নিজের শয়নকক্ষের পাশের একটি কক্ষে থাকতে দেন। এরপরে রাত ২টার দিকে জাকির তার পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার মায়ের গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

ডাক-চিৎকার শুনে প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমার মাকে উদ্ধার করে আগরপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। এ সময় প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি (বাদী) মঙ্গলবার ঢাকা থেকে বাড়ি আসি এবং বাবুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করি।

বাবুগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাতেই আমার নেতৃত্বে আগরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি দল অভিযান চালিয়ে গৌরনদীর সরিকল এলাকা থেকে ধর্ষক জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি ভিকটিম বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বুধবার বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে তার প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়। একইসাথে জাকিরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।