বছরের বেশির ভাগ সময় নীল আকাশের পটভূমিতে সাদা মেঘের আনাগোনা দেখা গেলেও গ্রীষ্ম-বর্ষায় কিছুটা ভিন্নতা আসে। সাদা মেঘের বদলে হঠাৎ ঘন ধূসর বা কালোমেঘে ছেয়ে যায় আকাশ। তারপর বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে মাটিতে। প্রশ্ন হলো, বৃষ্টির আগে এই মেঘ দেখতে কেন ভিন্ন হয়?
আমাদের চারপাশের বাতাসে প্রচুর পানি গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে। একে বলে জলীয়বাষ্প। মাটির কাছাকাছি এলে মাটির উত্তাপে বাতাস গরম ও হালকা হয়। ফলে হালকা বাতাস জলীয়বাষ্পসহ ধীরে ধীরে ওপরে উঠে যায়।
বাতাস যত ওপরে ওঠে, তত ঠান্ডা হতে থাকে। কারণ বায়ুমণ্ডলের ওপরের মেঘ যে অঞ্চলে হয়, সেখানকার তাপমাত্রা বেশি থাকে। চাপ থাকে কম। এদিকে আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত ধূলিকণা, যান্ত্রিক কালোধোঁয়া ও অন্যান্য ধূলাবালির সঙ্গে মিলে আরও ঘন হয় জলীয়বাষ্প।
এক পর্যায়ে জলীয়বাষ্প ঠান্ডা পানির ফোঁটা ও পরে বরফের স্ফটিকে রূপ নেয়। এভাবেই মেঘ তৈরি হয় আকাশে। বায়ুমণ্ডলের স্বাভাবিক কণাগুলো অন্য আলোর তুলনায় নীল আলো বেশি বিচ্ছুরিত করে। কিন্তু মেঘের কণা সব রং বিচ্ছুরণ করে। ফলে মেঘকে সাদা দেখায়।
বৃষ্টির মেঘের রং কালচে বা ঘন ধূসর দেখানোর কারণ লুকিয়ে আছে মেঘের পুরুত্বের মাঝে। বরফের স্ফটিকের পরিমাণ বেশি হলে মেঘ আরও ঘন ও পুরু হয়ে ওঠে। আগের মতো আলো বিচ্ছুরিত হতে পারে না। পাশাপাশি পুরু হওয়ার কারণে বেশি আলো শোষিত হয় মেঘে। অবশিষ্ট আলো মেঘের স্তর ভেদ করে সহজে আর নিচে আসতে পারে না। ফলাফল, নিচ থেকে এই ভারী মেঘ দেখলে কালো, অন্ধকার মনে হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।