মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বৃহস্পতি গ্রহের চাঁদে জীবনের খোঁজ করতে আগ্রহী। জীবনের খোঁজে ক্ষুদ্রাকৃতির একটি রোবট তৈরি করেছে নাসা। এখন পানির নিচে সেই রোবট পরীক্ষা করছে নাসা। সুইম নামের এই রোবট বহির্জাগতিক জীবনের সন্ধান করবে। নাসা দীর্ঘমেয়াদে গবেষণার জন্য এসব রোবট নিয়ে পরীক্ষা করছে। এই রোবট ভবিষ্যতে বৃহস্পতি গ্রহের চাঁদে প্রাণের খোঁজ করবে।
নাসা সম্প্রতি ইউরোপা ক্লিপার নভোযান বৃহস্পতি গ্রহের চাঁদ ইউরোপায় পাঠিয়েছে, যা ২০৩০ সালে সেখানে পৌঁছাবে। ইউরোপা চাঁদের পৃষ্ঠে যে মহাসাগর আছে তা বিশ্লেষণ করে প্রাণের খোঁজ করবে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন গ্রহ-উপগ্রহের মহাসাগর অন্বেষণে এমন নতুন রোবট পাঠানো হবে। ক্ষুদ্রাকৃতির এসব রোবট সেন্সিং উইথ ইনডিপেনডেন্ট মাইক্রো-সুইমার্স বা সুইম প্রকল্পের অংশ হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে। মুঠোফোন আকারের এসব রোবটের ঝাঁক ইউরোপার ঘন বরফের ভূত্বকের নিচে অন্বেষণ করতে সক্ষম।
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানী ইথান শ্যালার বলেন, সৌরজগতে এমন কিছু জায়গা আছে, যেখানে আমরা জীবন খোঁজার জন্য যেতে চাই। আমরা মনে করি, জীবনের জন্য পানির প্রয়োজন। যে কারণে আমাদের এমন রোবট দরকার, যা আমাদের থেকে কয়েক মিলিয়ন মাইল দূরের সেই পরিবেশে অন্বেষণ করতে পারে।
নমুনা রোবট প্রায় ১৬ দশমিক ৫ ইঞ্চি লম্বা। এসব রোবট স্বায়ত্তশাসিতভাবে অনুসন্ধান করতে পারে। ভবিষ্যতে প্রায় ৫ ইঞ্চি আকারে পরিণত করা হবে এসব রোবট। এসব রোবটে তাপমাত্রা, চাপ ও রাসায়নিক গঠনের মতো পরিস্থিতি পরিমাপ করার জন্য উন্নত সেন্সর আছে।
এসব রোবট এমনভাবে নকশা করা হচ্ছে যা অপারেশনাল অ্যালগরিদমকে কাজের ধরন বুঝে পরিমার্জিত করতে পারে। এই রোবটে বিভিন্ন ধরনের চিপ ও সেন্সর যুক্ত করা হচ্ছে। সুইম রোবট বরফের মধ্য কাজ করবে, এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। প্রকৌশলীরা মনে করেন এই রোবট পৃথিবীর বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের সুযোগ আছে। মেরু অঞ্চলে বরফের নিচে এসব রোবট দারুণভাবে কাজ করতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।