জুমবাংলা ডেস্ক : শীতের আগমনে কমতে শুরু করেছে শাক-সবজির দাম। এরই মধ্যে কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের সবজি হাটে বেগুন ৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন চাষিরা। ঐতিহ্যবাহী এই হাটে বেগুনের সরবরাহ বেশি হওয়ায় প্রতিমণ বেগুন ২৫০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রাম জেলায় ৭ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে শাক-সবজির চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। এর মধ্যে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে শাক-সবজির আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা থেকে কম জমিতে আবাদ হলেও উৎপাদন বেশি হয়েছে।
যাত্রাপুর হাটে আসা সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়নের কাতলামারী গ্রামের কৃষক ছকমাল আলী বলেন, এবছর আমি ১ বিঘা জমিতে বেগুনের আবাদ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় বেগুনের ভালো ফলন হয়। বেগুন চাষে সব মিলিয়ে ১৭ হাজার টাকা খরচ হয়। পুরো জমির বেগুন মাত্র ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পেরেছি।
তিনি আরো বলেন, হাটে বেগুনের দাম একবারেই কম। আজকে ১ মণ বেগুন নিয়ে এসেছি। ২ কেজি ১৫ টাকা দরে বিক্রি করেছি। বেগুন চাষে লাভ তো দূরের কথা আসলই উঠাতে পারিনি।
হাটে বেগুন বিক্রেতা দুলাল মিয়া বলেন, সার ও কীটনাশক সহ চাষের সব কিছুরই দাম বেশি। আর শ্রমিক দিয়ে কাজ করাতে হয় তারও মজুরি বেশি। বাজারে বেগুনের দামের যে অবস্থা তাতে বিক্রি করে কোনো লাভ হবেনা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, এই জেলায় ব্যাপক পরিমানে বেগুনের চাষ হয়েছে। বাজারে বেগুনের সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কম। কৃষকরা স্থানীয় বাজারে বিক্রি না করে দূরে কোনো হাটে বিক্রি করলে ভালো দাম পেতেন। আর কেনো জিনিসের সরবরাহ চাহিদার তূলনায় বেশি হলে সেটার দাম কমে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।