নিজস্ব প্রতিবেদক : সদ্য শেষ হওয়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বেড়েছে। গত অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। এটি আগের অর্থবছরের চেয়ে দুই দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বা ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি।
গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। অর্থবছরটি শেষ করেছিল দুই দশমিক ৭৫ শতাংশ রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধিতে।
রেমিট্যান্সের হালনাগাদ তথ্য জানিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে গত জুন মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে দুই দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার।
গত জুন মাসে আসা রেমিট্যান্স আগের বছরের জুনের চেয়ে শূন্য দশমিক ৩৪ বিলিয়ন (৩৪ কোটি ২৯ লাখ) ডলার বা ১৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি।
গত বছরের পুরো জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার।
প্রবাসী আয়ের নাজুক অবস্থা কেটে গিয়ে গত জানুয়ারিতে প্রথমবারের মতো দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়ায় রেমিট্যান্স। মাসটিতে প্রবাসী ও তাদের সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে জমা হয় ২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। একক মাস হিসেবে গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ দেড় থেকে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের ঘরে ছিল।
এরপর থেকে একক মাস হিসেবে চলতি বছরের মার্চ মাস ছাড়া গত পাঁচ মাসেই দুই বিলিয়ন ডলারের উপরে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
এর মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল গত মে শেষে। মাসটিতে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধি ছিল ৩৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। একক মাস হিসেবে এ রেমিট্যান্স গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার এসেছিল ব্যাংকিং চ্যানেলে।
সাধারণত রোজা, ঈদ, বাংলা নববর্ষকে ঘিরে প্রবাসীরা অন্য সময়ের চেয়ে বেশি অর্থ দেশে পাঠিয়ে থাকেন। গত মাসে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে প্রবাসীরা বেশি অর্থ পাঠিয়েছেন দেশে।
বেড়েছে রিজার্ভ: গত এক মাসে ডলারের বিপরীতে বিনিময় হার এক টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় জুন মাসেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, আইএমএফ ও কয়েকটি সংস্থার পাশাপাশি কোরিয়া থেকে আসা ঋণ যোগ হয় গত ২৬ জুন। এর সঙ্গে রেমিট্যান্সের এই উল্লম্ফন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়িয়ে দিয়েছে। গত ২৭ জুন শেষে গ্রস হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে।
রিজার্ভ বেড়ে গ্রস হিসাবে অবশ্য আইএমএফ স্বীকৃত বিপিএম৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২২ বিলিয়ন ডলার বলে জানান মুখপাত্র মেজবাউল।
তার মানে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিপিএম৬ পদ্ধতির হিসাবে আগের মতোই রিজার্ভের পরিমাণের পার্থক্য ৫.১৫ বিলিয়ন ডলারই থাকল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৬ জুন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতি ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস হিসাবে ২৪ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফ স্বীকৃত বিপিএম৬ পদ্ধতির গ্রস হিসাবে তা ছিল ১৯ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের নিট হিসাব প্রকাশ করে না। শুধু আইএমএফসহ বিভিন্ন সংস্থাকে জানিয়ে দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।