জুমবাংলা ডেস্ক : বহুল আলোচিত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বান্দরবানের খামারবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে চার স্কুলছাত্র নির্যাতনের শিকার হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ম্রো সম্প্রদায়ের ওই ছাত্রদের চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন খামারের কেয়ারটেকার। এসএসসি পাসের পর ওই ছাত্ররা বেনজীরের খামারবাড়ির সেই দুঃসহ স্মৃতি নিয়েই হোস্টেল ছাড়েন।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ঘটনাটি ঘটলেও সম্প্রতি বেনজীরের অবৈধ কীর্তিকলাপ সামনে আসার পরই উঠে আসে ওই বিষয়টি। নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্ররা হলো: একই এলাকার মেন পয় ম্রো, তনসিং ম্রো, ইয়ংনম ম্রো ও প্রেণনয়।
অভিযোগে জানা যায়, সুয়ালক ইউনিয়নের মাঝেরপাড়ায় বেনজীরের খামারবাড়ির পাশেই ম্রো আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়। শুক্রবার ছুটির দিনে আবাসিকের চার ছাত্র ঘুরতে ঘুরতে কৌতূহলবশত ঢুকে পড়ে বেনজীরের খামারবাড়িতে। কিছুক্ষণ ঘোরাফেরার পর সেখান থেকে বের হয়ে স্কুলের হোস্টেলে চলে যায় তারা। কিন্তু তার একদিন পর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বাগানে চাঁদাবাজ ঢুকেছে বলে অভিযোগ করেন খামারবাড়ির কেয়ারটেকার।
তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চার ছাত্রকে হোস্টেল থেকে স্থানীয় ক্যাম্পে তুলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে স্কুল শিক্ষকের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয় এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই ৪ ছাত্রকে।
এ বিষয়ে ম্রো আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই চার ছাত্রকে হোস্টেল থেকে স্থানীয় ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়। এরপর এ বিষয়ে ওই ছাত্রদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে আমরা তাদের নিয়ে আসি।’
এদিকে, বেনজীরের বাগানের নিরাপত্তার স্বার্থে ওই স্কুল শিক্ষার্থীদের আটক করা হয়েছিল বলে জানান স্থানীয় সুয়ালক ইউপি চেয়ারম্যান উক্যানু মার্মার।
তিনি বলেন, ‘চোর ধরার জন্য বেনেজীরের বাগানবাড়িতে কেয়ারটেকার নিয়োগ দিয়েছিলেন। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ওই ছাত্ররা সেখানে গেছে। পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।’
২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করা আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই ৪ শিক্ষার্থী হোস্টেল ছেড়ে চলে গেলেও বয়ে নিয়ে গেছে বেনজীরের বাগান ঘুরতে যাওয়ার দুঃসহ স্মৃতি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।