জুমবাংলা ডেস্ক : দীর্ঘ এক মাস ১০ দিন পর রাজধানীর গোপিবাগ বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ৪ পোড়া মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মরদেহ ৪টি হস্তান্তর করা হয়। ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) ওসি ফেরদাউস আহমেদ বিশ্বাস স্বজনদের কাছে মরদেহ চারটি হস্তান্তর করেন।
যাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে তারা হলেন- রাজবাড়ীর আবু তালহা (২৩), পুরান ঢাকার নাতাশা জেসমিন নেকি (২৫), রাজবাড়ির চন্দ্রীমা চৌধুরী সৌমি (২৮) ও রাজবাড়ীর এলিনা ইয়াসমিন (৪৪)।
ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) ওসি ফেরদাউস আহমেদ বিশ্বাস জানান, বেনাপোল এক্সপ্রেসের ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় চারটি মরদেহ একেবারেই পোড়া ছিল দেখে শনাক্ত করার পর্যায় ছিল না। পরে আদালতের আদেশক্রমে দাবিকৃত স্বজনদের ও পোড়া মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি ল্যাবে ক্রস ম্যাচিংয়ে দাবিদার শনাক্ত মিলে যায়। আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে থেকে স্বজনদের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে এলিনা ইয়াসমিনের মরদেহ গ্রহণ করেন ভাই মনিরুজ্জামান মামুন। নাতাশার জেসমিনের মরদেহ গ্রহণ করেন বড় ভাই খুরশীদ আহমেদ। আবু তালহার মরদেহ গ্রহণ করেন মামা মনিরুল ইসলাম এবং চন্দ্রীমা চৌধুরীর মরদেহ গ্রহণ করেন বড় ভাই ডা. দিবাকর চৌধুরী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে এলিনা ইয়াসমিনের স্বামী সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন চপল বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আজ আমার স্ত্রীসহ কয়েকজন মারা গেল। আমার বাচ্চা সারাজীবন কি বলবে? বাচ্চাটি কীভাবে মূল্যায়ন করবে? রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় সাধারণ জনগণ কেন ভোগ করবে? এগুলো থেকে মুক্তি চাই। সবাই আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।
নাতাশার বড় ভাই খুরশীদ আহম্মেদ বলেন, দীর্ঘ ৪০ দিন অপেক্ষার পর আমার বোনের মরদেহ বুঝিয়ে পেলাম। এই ৪০ দিন যে আমাদের পরিবার কীভাবে কেটেছে তা বুঝানো যাবে না। এরকম ঘটনার স্বীকার যেন কেউ না হয় এবং এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।