জুমবাংলা ডেস্ক : ১৫ থেকে ২০ জনের নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর ক্যাসিনো ব্যবসা। আর এসবের গডফাদার যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট। সহযোগীর তালিকায় আছেন কিছু পুলিশ কর্মকর্তাও। প্রতিদিন চাঁদা যেতো স্থানীয় থানাগুলোতে। গোয়েন্দা পুলিশের রিমান্ডে এসব তথ্য দিয়েছেন যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।
সবার অলক্ষ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেকদিন ধরেই চলছিলো ক্যাসিনো ব্যবস্যা। গেল বুধবার এরই কয়েকটিতে অভিযান চলায় র্যাব। জব্দ করে অত্যাধুনিক স্লট মেশিন, রোলেটসহ ক্যাসিনো খেলার নানা সরঞ্জাম, টাকা ও মা*দক। সবমিলিয়ে আটক হন ২শ’ জনের বেশি।
একই সঙ্গে গুলশান থেকে গ্রেফতার করা হয়, যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে। শুক্রবার গ্রেফতার হন আরেক যুবলীগ নেতা জি কে শামীম। দুজনই এখন রিমান্ডে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। জানিয়েছেন, গডফাদার যুবলীগ নেতা সম্রাটের সাথে রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাউসার মোল্লা ও সাঈদ। জি কে শামীমও ক্যাসিনো সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। অনেক পুলিশ সদস্যের নামও বলেছেন খালেদ।
পুলিশ জানায়, জি কে শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অভিযোগ বিষয়ে কথা বলতে সম্রাটের খোঁজে তার কাকরাইলের কার্যালয়ের গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
র্যাব বলছে, অভিযান অব্যহত থাকবে। যাদের নাম নতুন করে আসছে, প্রমাণ মিললে তাদেরও ধরা হবে।
র্যাব জানায়, কেউ ধরাছোঁয়ার বাইরে যাবে না। কোন ভাবেই সম্ভব না। আমরা তথ্য গ্রহণ করছি। যারা ওইসব ব্যবসা থেকে লাভ গ্রহণ করেছে, অবশ্যই সবাই আমাদের আইনের আওতায় চলে আসবে।
রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমান্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশে ক্যাসিনো অবৈধ। এ বেআইনি ব্যবসা কাউকে করতে দেয়া হবে না। আর কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, অপরাধী যেই হোক তার ছাড় নেই। কেউ এই ব্যবসা করবেন না। সে যেই হোক, রাজনৈতিক নেতা হোক, সমাজের কোন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি হোক।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, অপরাধী যেই হোক তার ছাড় নেই।
ভিডিও : চ্যানেল ২৪
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।