আবু সাঈদ, প্রতিনিধি বেরোবি: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) গণিত বিভাগে মিড় পরীক্ষা না দিয়েও ঐ মিড পরীক্ষায় ২৫ নম্বরের মধ্যে ১৬ নাম্বার পেল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বেরোবি শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক সুরাইয়া ইয়াসমীন ঐশী। আর এই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. রুহুল আমিন এর বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত সুরাইয়া ইয়াসমীন ঐশী গণিত বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আর অভিযুক্ত শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. রুহুল আমিন একই বিভাগের PMAT5102 এর কোর্স শিক্ষক ছিলেন ।
ঐশীর ব্যাচের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, গত ১৬ জুলাই এর পর থেকে সুরাইয়া ইয়াসমিন ঐশী ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত। তার মাস্টার্স ১ম সেমিস্টারের সকল পরীক্ষা জুলাই বিপ্লবের আগেই হলেও শুধু প্রফেসর ড. মো. রুহুল আমিন এর কোর্সের মিড পরীক্ষা বাকি ছিল। কোর্সটির নাম কমিউনিটিব আলজেবরা। কোর্স কোড হলো ৫১০২।
পরীক্ষারটি ০২ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার সময় নেন কোর্স শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. রুহুল আমিন এবং এ পরীক্ষায় ছাত্রলীগ নেত্রী ঐশী অনুপস্থিত ছিলেন। কিন্তু পরীক্ষা না দিয়েও ঐ মিড পরীক্ষায় ১৬ সহ মিড এবং অ্যাটেনডেন্স মিলে তার নাম্বা আসে ২১।
এছাড়া একাধিক শিক্ষার্থী আরও জানান, তিনি পরীক্ষাটি ২ ডিসেম্বর নিলেও উত্তরপত্রে আমাদের তারিখের জায়গায় আগের তারিখ লিখতে বলেন।আমরা তা তখন বুঝতে পারিনি। কিন্তু আমরা এখন বুঝতেছি তিনি তখন কেন আগের তারিখ লিখতে বলেছিলেন।
সুরাইয়া ইয়াসমিন ঐশী বলেন, আমি ওই মিড পরীক্ষাটি সবার সাথেই দিয়েছি। কিন্তু কবে দিয়েছি তা মনে নেই। আপনারা চাইলে আমার বিভাগে গিয়ে পরীক্ষার খাতা দেখতে পারেন।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও পাস করে দেয়ার ব্যাপারে গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. রুহুল আমীনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, না আমি পরীক্ষা জুলাই-আগস্টের আগেই নিয়েছি। কারণ মাস্টার্স ১ম সেমিস্টারের সকল বিষয় আগেই শেষ করে ফেলছি আমরা। আর এই মিড পরীক্ষাটি মে মাসে নিয়েছি। দেখতে চাইলে পরীক্ষা কন্ট্রোলার গিয়ে খোঁজখবর নিতে পারেন।
এ বিষয়ে গণিত বিভাগের পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক মো. হান্নান মিয়া বলেন, সংশ্লিষ্ট কোর্স টিচার রা এসব দেখাশোনা করে। তারা আমাদের রেজাল্ট দেয়। আমরা সেটা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে পাঠাই দেই। এতে আমার কোনো হাত নেই।
সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদারের ৪ বছরের কারাদণ্ড, সম্পদ বাজেয়াপ্ত
এ বিষয়ে গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. কমলেশ চন্দ্র রায় বলেন, আমি জুলাই অভ্যুত্থান পরে ওই শিক্ষার্থীকে বিভাগে কখনো দেখিনি। বিভাগীয় প্রধান হিসেবে আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। আমি বিষয়টি শুনেছি। শোনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে জানাইছি। কারণ এ দায় বিভাগ নিবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।