বেরোবি প্রতিনিধি : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ১০৮ তম সিন্ডিকেটে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতিসহ সকল ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও ক্যাম্পাসের ভিতরে বিএনপির ছাত্রসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তাদের দলীয় কর্মসূচির পোস্টার লাগিয়েছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বেরোবি ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগিয়েছে। পোস্টারের নিচের অংশে ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল’ এর পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল’ লেখা রয়েছে।
শিক্ষার্থী শাওন বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মহল পুনরায় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি চালুর চেষ্টা করছে। যেখানে এই অপরাজনীতির ফলে আমাদের ভাই আবু সাঈদ কে হারিয়েছি। অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। যেখানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীর চাওয়া ও গণস্বাক্ষরের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট মিটিংয়ে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ছাত্র সংসদ খুব দ্রুত চালু হওয়ার প্রসেস চলমান। এজন্য সাধারণ শিক্ষার্থী আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে। যেহেতু দলীয় লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ, তাই যারা ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক পোষ্টার লাগিয়েছে। তারা অপরাধ করেছে।
এ বিষয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আল আমিন বলেন, এটা ছাত্রদলের পোস্টার না, এটা বিপ্লব ও সংহতি দিবসের পোস্টার। আমাদের সংগঠনের ১৪ টা উইংস আছে এর মধ্যে ছাত্রদল, যুবদল সহ সকলে এই কর্মসূচি পালন করবে। এটা কেন্দ্র থেকে দেওয়া। এই দিবস আগে জাতীয় দিবস ছিলো। আওয়ামীলীগ এই দিবস বন্ধ ঘোষণা করেছে। জিয়াউর রহমান কে আবার স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে অন্তবর্তীকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পরও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নামে পোস্টার লাগানোর বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি আরও বলেন, এখানে তো ছাত্রদলের পক্ষ থেকে মিছিল ও শোডাউন,শ্লোগান কিছুই হয়নি। এটা শুধু এখানে না, সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কুল,কলেজ,মাদরাসাতে লাগানো হচ্ছে। এটা কেন্দ্র থেকে দেওয়া। তাই এটাতে আমি লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি দেখতেছি না। এখানে প্রশাসনের কোনো মাথা ব্যাথা দেখতেছি না।
প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছেন কি না এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন প্রশাসনের সাথে প্রাথমিক কথা বলেছি কিন্তু তারা কোনো সিদ্ধান্ত জানায় নি। তবে প্রশাসন বলেছে সারাদেশে যদি লাগায় তাহলে দেখেন আপনারা কি করবেন। প্রশাসনের কোন লোক বলেছে প্রশ্ন করলে তিনি বিষয় টা এড়িয়ে যান।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, এসব পোস্টার কারা লাগিছে আমরা দেখিনি। তবে আজ বিকাল ৫ টায় আমরা একটি মিটিং কল করেছি, এসব বিষয়ে সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.শওকত আলী বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। পোস্টারের বিষয় টা দেখার জন্য প্রক্টরের সাথে এখনি কথা বলতেছি।
মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স : জবিতে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির দাবি শিবিরের
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।