জুমবাংলা ডেস্ক: ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচন বানচাল ও নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা তৈরির উদ্দেশ্যেই মজুদ করা হয় বোমা। যার নির্দেশ আসে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কয়েকজন নেতার কাছ থেকে। বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিল যুবদল।
পুলিশ বলছে, কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বের হয় নাশকতার পুরো ছকটি। তার সূত্র ধরেই উত্তরার কামারপাড়ায় থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ বোমা। শুধু উত্তরা এলাকা নয়, বোমা হামলার পরিকল্পনা ছিল রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায়।
গত ১২ই নভেম্বর ঢাকা ১৮ আসনের উপ-নির্বাচনের দিনে ভোটকেন্দ্রের বাইরে বোমাবাজির অভিযোগে আটক হয় সোহেল নামে একজন। পরে ঘটনার ছায়া তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ উত্তরার দশ নম্বর সেক্টরের একটি নির্মাণাধীন ভবনে পায় একত্রিশটি হাতবোমা। গ্রেপ্তার হয় সুমন ও পারভেজ দুই যুবদল নেতা।
কার নির্দেশে কেন তৈরি করা হয় এসব বোমা? প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা গোয়েন্দা পুলিশকে জানায় ঘটনার বিস্তারিত।
তথ্য মেলে নির্বাচন বানচাল ও নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতাই ছিল বোমা তৈরির মূল উদ্দেশ্য। তুরাগ থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন পারভেজ ছিল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্বে।
৫৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুমন শেখ ওরফে বোমা সুমন তৈরি করেন বোমা। সুমনের সহযোগীর দায়িত্ব পালনে করে সেলিম, সোহেল, তৌহিদুল, মাসুম সোহরাব, উজ্জ্বল ও হাসিব। বোমা তৈরির উপাদান সংগ্রহ করে সেলিম আর মাসুম। আর বোমা নিক্ষেপ করার দায়িত্ব ছিল সোহেল তৌহিদুল ও সোহরাবের ওপর।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার বদরুজ্জামান জিল্লু বলেন, ‘শুধু ঢাকা ১৮ আসন নয়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বোমা নিক্ষেপের পূর্ব পরিকল্পনা ছিল তাদের। আমরা ইতিমধ্যে বেশকিছু তথ্য পেয়েছি, এই তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।