জুমবাংলা ডেস্ক : রংপুরের পীরগাছায় হঠাৎ গুজবে কান দিয়ে লজ্জায় পড়েছেন লবণ ক্রেতারা। বাড়ির বাইরেও অনেকে লজ্জা দিচ্ছেন আবার বাড়িতেও প্রয়োজনের অতিরিক্ত লবণ নিয়ে গিয়ে গৃহিণীর তোপের মুখে পড়েছেন। বেশি দামে বেশি লবণ কিনে অনেকে আফসোস করছেন। এতে অনেকে বিদ্রুপের ভয়ে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না।
উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের তৎপরতায় গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকেই লবণের বাজার দর স্বাভাবিক হয়েছে। বেশী দামে লবণ বিক্রি করায় ৫ দোকানীর ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সোমবার রাত থেকেই লবণের দাম বাড়ার গুজব ছড়ায় একটি মহল। আর এ গুজব ছড়িয়ে পড়ে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে শুরু করে গ্রামে-গঞ্জে। এ গুজবে উপজেলায় ব্যবসায়ীরা লবণের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে লবণ বিক্রি করে। লবণের দাম বাড়ার খবর পেয়ে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে দোকানে দোকানে লবণ কিনতে ভিড় করে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) প্রতিকেজি লবণ ৩০ টাকায় বিক্রি করা হলেও মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু গুজব ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়লে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ে বিকালেই তা ৮০ টাকা কেজি ছাড়িয়ে যায়। বিভিন্ন কম্পানির প্যাকেট লবণের পাশাপাশি খোলা লবণও ব্যাপক হারে বিক্রি হয়েছে। গুজবের কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন হাট-বাজারে লবণ বেশী দামে বিক্রি শুরু করে। লবণের দাম বৃদ্ধি পাবে এমন খবরে সাধারণ মানুষ মুদি দোকানগুলো থেকে চাহিদার তুলনায় কয়েকগুন বেশী লবণ ক্রয় করে।
আফছার আলী নামে এক ক্রেতা জানান, ‘মঙ্গলবার বিকেলে ১০ কেজি লবণ কিনি ৮০ টাকা কেজি দরে। তখন নিজেকে ‘সৌভাগ্যবান’ মনে হয়েছিল। কিন্তু রাতেই আগের দামে লবণ বিক্রি হতে শুরু করলে তখন নিজের নির্বুদ্ধিতায় লজ্জায় মুখ লুকানোর জায়গা পাচ্ছি না। এভাবে ঠকে যাবার কথা কাউকে বলতেও পারছি না।’
মঙ্গলবার পীরগাছা বাজার থেকে পাঁচ কেজি লবণ ক্রয় করে তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘লবণের দাম ২০০ টাকা কেজি হবে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে আমি পাঁচ কেজি লবন কিনি। সবাইকে দেখিয়ে দেখিয়ে লবণ বাড়িতে নিয়ে গেছি। আজ সবাই আমাকে লজ্জা দিচ্ছে। এতো লবণ একসাথে কিনে বাড়িতেও গৃহিণীর তোপের মুখে পড়েছি।’
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমীন প্রধান বলেন, ‘লবণের দাম বৃদ্ধির খবর গুজব ছিল। বর্তমানে বাজার দর স্বাভাবিক রয়েছে।’