প্রতিদিন বিজ্ঞানের জগতে ঘটছে নানা ঘটনা। প্রতিমুহূর্তে এগোচ্ছে পৃথিবী, বদলে যাচ্ছে অনেক কিছু। প্রকাশিত হচ্ছে নতুন গবেষণাপত্র, জানা যাচ্ছে নতুন গবেষণার কথা। কিছু বিষয় এত সুদূর প্রসারী যে এগুলোর প্রভাব বোঝা যাবে আরও অনেক পরে। এরকম নানা বিষয়, নানা ঘটনা দেখে নিন একনজরে, জেনে নিন সংক্ষেপে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবালের সন্ধান
সম্প্রতি সমুদ্রের গভীরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সলোমন দ্বীপপুঞ্জের কাছে এটি পাওয়া গেছে। অনেকটা দুর্ঘটনাবশত এ প্রবালের সন্ধান পান বিজ্ঞানীরা। কারণ, এতদিন মানুষ ওটাকে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ভাবত।
গত অক্টোবরে ন্যাশনাল জিওগ্রাফির একটি দল প্রশান্ত মহাসাগরে গভীর সমুদ্র অনুসন্ধানে নেমে এই বিশাল কাঠামো আবিষ্কার করেন। প্রথমে এটিকে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ মনে হলেও সিনেমাটোগ্রাফার মনু সান ফেলেক্স যখন সাগরের ১২ মিটার বা ৪২ ফুট গভীরে নেমে এটির কাছাকাছি যান, তখন বুঝতে পারেন, এটি আসলে বিশালকার প্রবাল।
সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে প্রথমবার খাদ্য উৎপাদন করল প্রাণিকোষ
প্রথমবারের মতো সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদনে সক্ষম প্রাণিকোষ তৈরি করেছেন জাপানের একদল বিজ্ঞানী। অর্থাৎ এ প্রাণিকোষ উদ্ভিদের মতোই সূর্যের আলো থেকে খাদ্য উৎপাদনে সক্ষম। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাকিহিরো মাতসুনাগার নের্তৃত্বে সম্প্রতি গবেষণাটি পরিচালিত হয়। এটিকে একুশ শতকের গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলোর একটি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ক গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে প্রসিডিংস অব দ্য জাপান একাডেমি জার্নালে।
প্রথমবারের মতো স্টেম কোষ প্রতিস্থাপনে ফিরে পেল দৃষ্টিশক্তি
দৃষ্টিশক্তির নানারকম সমস্যা রয়েছে অনেকেরই। এরকমই একটি সমস্যা অস্পষ্ট দেখা বা ব্লারি ভিশন। চোখের সামনের স্বচ্ছ অংশ কর্নিয়া প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হলে এমনটা হতে পারে। তিনজন মানুষের এ সমস্যার সমাধান করা হয়েছে স্টেম কোষ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে। এ সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বখ্যাত দ্য ল্যানসেট জার্নালে।
এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালিত হয়েছে জাপানে। এর মাধ্যমে ইতিহাসে প্রথমবার স্টেম কোষ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে সমাধান হলো দৃষ্টিশক্তি সমস্যার। এ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন মোট চারজন।
মিল্কিওয়ের বাইরে নক্ষত্রের প্রথম বিশদ ছবি
মিল্কিওয়ের বাইরে কী ঘটছে, বিজ্ঞানীরা তা সব সময়ই জানার চেষ্টা করেন। মহাবিশ্বের নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কাজ করে যাচ্ছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি মিল্কিওয়ের বাইরে একটি নক্ষত্রের প্রথম ডিটেইলড বা বিশদ ছবি তুলেছেন তাঁরা। নক্ষত্রটির নাম দেওয়া হয়েছে ডব্লিউওএইচ জি৬৪ (WOH G64)। ১৬০ হাজার আলোকবর্ষ দূরে লার্জ ম্যাগেলানিক ক্লাউড বা ম্যাগেলানের বড় মেঘে রয়েছে এটি। নক্ষত্রটি যে ছায়াপথে আছে, সেটা মিল্কিওয়েকে প্রদক্ষিণ করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।