দিন দিন কমে যাচ্ছে বিদেশি ঋণ সহায়তা। উন্নয়নের যারা সহযোগী তারা চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে বিভিন্ন জায়গায় 229 কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার কথা বলেছিল, তবে আগের অর্থবছরে এটি ছিল 698 কোটি ডলারের অনেক উপরে। এই অল্প সময়েই ঋণের যে কথা বলা হয়েছিল তার ৬৭ শতাংশ কমে যায়।
শুধু ঋণ ছাড় নয় কমেছে প্রতিশ্রুতিও। এই সময়ে ঋণের প্রতিশ্রুতি এসেছে ২২৯ কোটি ডলারের। যেখানে আগের বছর একই সময়ে প্রতিশ্রুতি এসেছিল ৬৯৮ কোটি ডলারের। অর্থাৎ বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে ৬৭ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, বিগত সময়ে প্রয়োজনের চেয়ে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পেই বেশি ঋণ নেওয়া হয়েছে। ঋণের প্রতিশ্রুতি কমার পেছনে প্রকল্পের অনুমোদন কমাসহ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রভাব দেখেছেন তারা।
অর্থনীতিবিদ শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ‘কোনো দেশের বাইলেটারেল বা মাল্টিলেটারেল লোন অথবা গ্র্যান্ডস, যে কোনো কিছু নির্ভর করে একটা দেশের রাজনৈতিক স্থীতিশীলতার ওপর। উন্নয়ন প্রকল্প কিভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে? আমরা জানি অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর এটা স্লথ হয়ে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রকল্প চলবে, কি চলবে না সে নিয়েও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রয়েছে।’
এত প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও ঋণ পরিশোধ করা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে বৈদেশিক ঋণ ছাড় দেওয়া হয়েছে ৩৫৩ কোটি ২৪ লাখ ডলার। তবে গত অর্থ বছরে তা ছিল ৪০৬ কোটি ডলার। বিশ্বব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সবথেকে বেশি ঋণ দেওয়ার কথা বলেছিল। তারা ৯১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার দেওয়ার কথা বলেছিল। তাছাড়া জাপানের দেওয়ার কথা ছিল ২৫ কোটি। অন্যদিকে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ৭০ কোটি এবং অন্যান্য সংস্থা থেকে ২৭ কোটি ২০ লাখ ডলার পাওয়ার কথা রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।