অর্থনীতি ডেস্ক : অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১১ শতাংশ কম রফতানি আয়। গেল বছরের এ সময়ের চেয়ে যা কমেছে ২ শতাংশের বেশি। রফতানি আয়ের সবচেয়ে বড় খাত তৈরী পোশাকসহ চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের আয়েও নেতিবাচক ধারা। ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাভাব, চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য দ্বন্দ্ব, ব্রেক্সিট ইস্যু এবং সার্বিকভাবে চাহিদা কমে যাওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে রফতানি খাতে।
অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই শেষে বেশ ভালো অবস্থানে থাকলেও পরের দুই মাসেই নেতিবাচক ধারা ছিল রফতানি খাতে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ মাসে ১ হাজার ৮৪ কোটি ডলার রপ্তানি আয়ের। অথচ এসেছে মাত্র ৯৬৪ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৩ ভাগ কম।
নিটওয়্যার, ওভেন এমনকি সবচেয়ে বড় রপ্তানিখাত তৈরী পোশাকের সবগুলো ক্যাটাগরীতেই নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি। আর দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিখাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যেরও একই অবস্থা।
রপ্তানিকারকদের পরামর্শ, ডলারের বিপররীতে টাকার দরপতন ঘটলে অবস্থার উন্নতি হতে পারে।
যদিও ভিন্নমত বিশ্লেষকদের। অবমূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিলে সার্বিক অর্থনীতি বিবেচনায় একটি বিনিময় হার নির্ধারণ করার পরামর্শ তাদের।
পরের প্রান্তিকেই রপ্তানি বাড়ার প্রত্যাশা করছেন তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।