আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসে সারা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছে ১৩ লাখেরও বেশি মানুষ এবং এই মহামারি সামাল দিতে প্রায় সবগুলো দেশের সরকারই হিমসিম খাচ্ছে।
তবে বিশ্বের কিছু সংখ্যক দেশের নেতা এই ভাইরাসটি নিয়ে এমন ধরনের মন্তব্য করেছেন যাতে এই মহামারির ভয়াবহতাকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর কারণেও তারা সমালোচিত হচ্ছেন।
এখানে এরকম কয়েকটি বিতর্কিত মন্তব্য তুলে ধরা হলো:
২। জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘এটি (করোনাভাইরাস) আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে’।
৩। পরিস্থিতির গুরুত্ব না দেয়ায় বর্তমানে সংক্রমণের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের এক নাম্বার দেশ।
৪। যুক্তরাজ্যে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছিলেন, লোকজনের সঙ্গে করমর্দন করার ব্যাপারে তিনি উদ্বিগ্ন নন।
৬। কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত রোগী পাওয়ার পর ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো বলেছিলেন, ‘করোনাভাইরাস সামান্য ফ্লুর মতো’।
৭। সম্প্রতি জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণের পর ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েক লাখ মানুষ নিজেদের বাসার বারান্দা থেকে থালা-বাসন পিটিয়ে ওই ভাষণের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
৮। করোনাভাইরাস নিয়ে কঠোর অবস্থানে থাকা ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে সম্প্রতি বলেছেন, ‘সরকারকে চ্যালেঞ্জ করলে বা ভয়ভীতি দেখালে আপনি হেরে যাবেন।’
৯। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেছিলেন, ‘আমি আমার চারপাশে করোনাভাইরাসকে উড়তে দেখিনি।’ তিনি করোনাভাইরাসের ভীতিকে ‘মানসিক বৈকল্য’ বলেও উল্লেখ করেছেন।
১০। মেক্সিকোতে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বিস্তারের পর দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস মানুয়েল লোপেজ বলেছিলেন, ‘আপনারা পরিবারকে নিয়ে বাইরে খাওয়া চালিয়ে যান।’
১১। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো স্বীকার করেছেন যে, কোভিড-১৯ নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবেই তিনি জনগণের কাছে কিছু তথ্য গোপন করেছিলেন।
১২। ইরাকের শিয়া নেতা মুক্তাদা আল-সদর করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পেছনে ‘সমকামী বিবাহ আইন’-কে দায়ী করেছেন। সূত্র: বিবিসি, সিএনবিসি, রয়টার্স, এবিসি নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।