জুমবাংলা ডেস্ক: নানাবাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দশ বছরের বোনকে বরিশাল নদী বন্দরে রেখে পালিয়েছে সৎ ভাই। পরে স্থানীয় যুবক সুমন হাসানের সহায়তায় তার ঠাঁই হয়েছে নগরীর সরকারি শেখ রাসেল শিশু পুনর্বাসন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে।
সরকার, শিশুটির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক অজিয়র রহমান। তিনি জানান, তাকে শেখ রাসেল পুনর্বাসন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক অজিয়র রহমান বলেন, উদ্ধার হওয়া শিশুর নাম তাসমিয়া আক্তার তানিয়া। তাকে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের উপ-পরিচালক বাসুদেব দেবনাথের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানে শিশুটির ভরণ পোষণ, লেখাপড়া এবং পুনর্বাসনের যাবতীয় ব্যবস্থা করা হবে। আর পরবর্তীতে পরিবারের কেউ নিতে চাইলে আইনানুগভাবে নিয়ম মেনে তাকে তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
শিশুটি জানায়, চার বছর আগে তার মা মারা যায়। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সৎ মায়ের আগের ঘরের একটি ছেলে রয়েছে। বাবা ঢাকা থাকায় সৎ মা ও সৎ ভাই তাকে নির্যাতন করত। সে পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নের মাহমুদকাঠি গ্রামের মাহমুদকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। পড়ালেখা করার সুযোগ চেয়েছে তানিয়া।
শনিবার নানাবাড়ি সিলেটে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে তাকে সঙ্গে নিয়ে পিরোজপুর থেকে রওনা হয় সৎ ভাই মোহাম্মদ মনির। পরে বরিশাল নদী বন্দরে পৌঁছে তাকে এক জায়গায় দাঁড় করিয়ে রেখে টিকিট কিনতে যাওয়ার কথা বলে আর সে ফেরেনি। পরে শিশুটিকে কাঁদতে দেখে স্থানীয় যুবক সুমন হাসান তাকে জেলা প্রশাসকের কাছে পৌঁছে দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।