আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাওবাদী ছিল বড় বোন। তাকে হ’ত্যা করে কর্তব্য পালন করল পুলিশ ভাই। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলার বালেংটং জঙ্গলে। গত ২৯ জুলাই সকাল সাতটা নাগাদ নিরাপত্তারক্ষীদের ১৪০ জনের একটি দল মাওবাদী শিবির ঘিরে ফেলে। চলে দুপক্ষের গু’লিবর্ষণ। তাতে একাধিক মাওবাদী নিহত হয়। যার মধ্যে এক পুলিশের বোনও ছিল।
গত ২৮ জুলাই সারারাত মাওবাদীদের খোঁজে জঙ্গলে টহল দিয়েছিল নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর দলটি। যে দলের নেতৃত্বে ছিল ভেট্টি রামা। সুকমা পুলিশের গোপন সৈনিক রামা। এই অপারেশনের সেকশন কম্যান্ডার ছিল সে। একসময় নিজেও মাওবাদী ছিল রামা। পরে আত্মসমর্পণ করে। পুলিশের কাছে খবর ছিল ওই জঙ্গলে ৩০ জনের একটি মাওবাদী দল লুকিয়ে রয়েছে। যার নেতৃত্বে আছে ভেট্টি কান্নি (৫০)। যে রামার বড় বোন।
মাওবাদীদের ক্যাম্প ঘিরে ফেলার পর যখন গুলিবর্ষণ চলছে, তখনই মুখোমুখি দেখা হয়ে যায় রামা ও কান্নির। দুজনেই পরস্পরের দিকে তাকিয়ে ছিল। তখনই কান্নির নিরাপত্তারক্ষীরা রামাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা জবাব দেয় সুকমা পুলিশও। দুজন মাওবাদী তখনই নিহত হয়। কান্নি আহত অবস্থায় কোনোক্রমে পালিয়ে যায়। পরে জানা যায়, কান্নিও নিহত হয়েছে।
রামা বলেন, আমি কান্নিকে গুলি করতে চাইনি। কিন্তু কান্নির নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করল। এরপরই আমি গুলি চালাই। কান্নিও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। আমার গুলিতে সে গুরুতর আহত হয়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, কান্নিকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল পুলিশ। তার মাথার দাম ছিল ৫ লাখ টাকা। ১৯৯০ সালে কান্নি ও রামা একসঙ্গে মাওবাদী দলে যোগ দিয়েছিল। কিন্তু একসময় মাওবাদীদের কার্যকলাপে বিরক্ত হয়ে ২০১৮ সালে আত্মসমর্পণ করে রামা। এরপর পুলিশে চাকরি পায়।
এরপর বড় বোন কান্নিকেও আত্মসমর্পণ করার জন্য তিনটি চিঠি দিয়েছিল রামা। কিন্তু কান্নি প্রতারক বলেছিল রামাকে। রামার কথায়, সিনিয়র হয়েও মাওবাদী গ্রুপে যোগ্য মর্যাদা পাইনি। প্রায় সাত বছর স্ত্রীকে দেখতে পর্যন্ত পাইনি। এখন অবশ্য স্ত্রীকে নিয়ে সুকমায় পুলিশ কোয়ার্টারে থাকে রামা। তার কথায়, আর কারও সঙ্গে যেন এই ঘটনা না ঘটে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।