জুমবাংলা ডেস্ক : সংসারের চাকা ঘুরতো তার উপার্জনে। আগুনে পুড়েও বড় বোনের বিয়ের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল আসাদের। চিকিৎসকদের চেষ্টা সত্ত্বেও মারা গেল ১৪ বছর বয়সী দগ্ধ কিশোর আসাদ।

রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় আসাদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন ঢামেক বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক অধ্যাপক সামন্তলাল সেন।
তিনি জানান, আসাদের শরীরের শতকরা ৫০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। তার শ্বাসনালীও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আসাদের বাড়ি বরিশালের কাওয়ার চরে। কেরাণীগঞ্জে ভাড়া বাসায় সপরিবারে থাকত সে। পরিবারে চার ভাইবোন। বড়বোন শিরিন, মেজোভাই সোহেল ও ছোটবোন আরিফা। বাবা অসুস্থ ও বড় সোহেল বেকার হওয়ায় আসাদের টাকায় চলত সংসার।
তবে গত ১১ ডিসেম্বর বিকালে কেরাণীগঞ্জের চুনকুঠিয়ায় প্রাইম প্যাক্ট নামের একটি প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লাগলে আসাদ দগ্ধ হয়। সে ওই ফ্যাক্টরিতে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করত ১৩ হাজার টাকা বেতনে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আসাদ তার খালা মুন্নি বেগমকে জানিয়েছিল তার দুশ্চিন্তার কথা। বড় বোনের বিয়ের পুরো ব্যয় বহন করতে চায় সে। আসাদের সে ইচ্ছে পূরণ হয়নি।
প্লাস্টিক কারখানার আগুনে এ নিয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর দগ্ধ ১০ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।


