জুমবাংলা ডেস্ক : বরিশালের আগৈলঝাড়ার গৈলা ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশা গ্রামের রবিউল সরদার (৩৪) ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। আগামীকাল শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) তার একমাত্র ছোট বোন সোনিয়ার বিয়ে।
বোনের জন্য শাড়ি-চুড়িসহ বিয়ের আনুষঙ্গিক মালামাল কিনে বাড়ি ফিরছিলেন রবিউল। বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি) বিকালে বাড়ি গেল তার মৃতদেহ। বোনের বিয়ের হাসি-খুশির পরিবর্তে এখন বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
বুধবার (০৮ জানুয়ারি) রাতে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় এসএ ট্রাভেলস নামের যাত্রীবাহী বাস রবিউলকে বহনকারী মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রবিউল ইসলাম নিহত হন।
দুর্ঘটনার খবরে পাল্টে যায় বিয়েবাড়ির পরিবেশ। কয়েক দিন ধরে যে বাড়িতে বিরাজ করছিল আনন্দ সেই বাড়িতে নেমে আসে মাতম। ছেলের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ বাবা-মা। ভাইকে হারিয়ে বোন সোনিয়া এখন কাঁদছেন। সোনিয়ার বুকফাটা কান্নায় প্রতিবেশীদের চোখ ভিজে যায়। রবিউল শিহিপাশা গ্রামের ভ্যানচালক লোকমান সরদারের ছেলে।
রবিউলের স্বজনরা জানান, রবিউল ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। বোনের বিয়ের জন্য কর্মক্ষেত্র থেকে ছুটি নিয়ে বুধবার রাতে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এর আগে ঢাকার মার্কেটে ঘুরে ঘুরে বোনের জন্য শাড়ি-চুড়িসহ বিয়ের আনুষঙ্গিক মালামাল কিনেছেন রবিউল।
বুধবার রাতে রবিউলকে বহনকারী মাইক্রোবাসকে সজোরে ধাক্কা দেয় এসএ ট্রাভেলস নামের যাত্রীবাহী বাস। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন রবিউল। ওই দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসে থাকা একই উপজেলার পতিহার গ্রামের হাফিজুল গোমস্তার ছেলে শাকিল গোমস্তাসহ (২৮) সাতজন আহত হন।
শিবচর থানা পুলিশের ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, মাইক্রোবাসটি পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেস হাইওয়ের ভুল লেনে ঢুকে পড়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এতে আগৈলঝাড়ার দুজন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন।
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে রবিউলের মরদেহ গ্রামের বাড়ি আৗগলঝাড়ায় এসে পৌঁছে। এ সময় স্বজনদের মধ্যে কান্নার রোল পড়ে যায়। বার বার মূর্ছা যান বাবা-মা।
মরদেহের পাশে বোন সোনিয়া বুক চাপড়ে কাঁদতে কাঁদতে বিলাপ করেছেন। বিকালে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে রবিউল সরদারকে দাফন করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।