জুমবাংলা ডেস্ক : আশুলিয়ায় চাঞ্চল্যকর রত্না হ’ত্যাকা’ণ্ডের তিনদিনের মধ্যেই অভিযান চালিয়ে আসামি ইলিয়াসকে (২৫) ঝিনাইদহ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আল মামুন কবির। গ্রেফতারকৃত ইলিয়াস মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার সফি মণ্ডলের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার জামগড়ায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতো।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আল মামুন কবির বলেন, নিহত রত্না ও আসামি ইলিয়াসের কাহিনী সিনেমাকেও হার মানায়। গ্রেফতারকৃত আসামি ইলিয়াস জামগড়া এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেয়। এসময় রত্না (৪০) নামের এক নারীকে তিনি ধর্মের বোন বানায়। একসময় তাদের মধ্যে শারী’রিক সম্পর্ক তৈরি হয়।
পরে রত্না বেগম ইলিয়াসকে বিয়ে করার জন্য তার ১৬ বছরের মেয়ে রেখে আগের স্বামীকে তালাক দেয়। অন্যদিকে রত্নাকে না জানিয়ে ইলিয়াস এক মেয়েকে বিয়ে করলেই ঘটে বিপত্তি। রত্নাকে আগের মতো সময় দিতে পারে না ইলিয়াস। এই নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি লেগেই থাকতো। অবশেষে দু’দিকের চাপ সামলাতে না পেরে রত্নাকে রাতের আধারে শ্বা’স’রোধ করে হ’ত্যা করে তিনি পালিয়ে যান। পরে নিহতের ভাইকে ফোন করে রটনার মৃ’ত্যুর খবর জানায় ইলিয়াস।
তিনি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর থেকেই পুলিশ সুপারের নির্দেশে ইলিয়াসকে গ্রেফতার জন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়। ৩ দিনের শ্বাসরুদ্ধ অভিযান শেষে তাকে ঝিনাইদহ থেকে গ্রে’ফতার করা হয়।
প্রসঙ্গ, গত বুধবার (১৭ জুন) জামগড়া বেরন এলাকার বাবুল মিয়ার ভাড়া বাড়ির একটি তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে রত্নার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।