১৯৯৭ সালে ম্যানেজমেন্ট গুরু টম পিটারস সর্বপ্রথম ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিং এর ধারণা দিয়েছিলেন, সেই থেকে তা এখন একটি অতি পরিচিত শব্দ। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মসহ অনলাইনে আপনার ব্যাপারে যেসব তথ্য রয়েছে তা আপনার ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডের প্রতিফলন ঘটায়। এই লেখায় কীভাবে আপনি আপনার ব্যক্তিগত অনলাইন ব্র্যান্ডিং করবেন সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
আপনি যেমন তার উপরেই নির্ভর করবেন আপনার ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড, তাই নিজের ব্যাপারে আপনি অন্ধকারে থাকলে আপনার ব্র্যান্ডিং গড়ে উঠবে না। এর মানে এই নয় যে আপনার সব খুঁটিনাটি বিষয়াদি সামনে নিয়ে আসতে হবে, এর মানে এই যে আপনার সক্ষমতা এবং দুর্বলতাগুলোর একটি বাস্তবিক মূল্যায়ন করতে হবে। আপনি কী করতে ভালবাসেন, কী কী দক্ষতা আপনার রয়েছে বা কী কী দক্ষতা আপনি অর্জন করার চেষ্টা করছেন – এসব কিছুর মূল্যায়ন।
যদি আপনার মাথায় কোন অভিনব নাম থেকে তাখে, তাহলে সেটাকেই আপনার ব্র্যান্ড নাম হিসেবে ব্যবহার করুন। আর না থাকলে, এমন একটি নাম তৈরি করুন যার সাথে আপনার নিজের নাম এবং ক্যারিয়ারে একটা যোগসূত্র থাকবে। আপনি অবশ্যই চাইবেন মানুষ আপনাকে জানুক, আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না আপনার নামে অন্য আরেক ব্যক্তি সম্পর্কে মানুষ খোঁজ নিক। মনে রাখবেন, আপনার ব্র্যান্ড নামে যদি আপনার জীবনের লক্ষ্য জুড়ে দেন, তাহলে সেই লক্ষ্যটা কিন্তু সবসময় আপনার সাথেই থাকবে।
আপনার ব্র্যান্ড নামের সাথে মিল রেখে একটি ওয়েব ডোমেইন কিনুন, এছাড়াও একই নামে একটা ফেইসবুক পেইজ, টুইটার অ্যাকাউন্ট এবং গুগল প্লাস অ্যাকাউন্টও করে নিন। যদি দেখতে পান যে আপনার নামটি আগেই ব্যবহৃত হয়ে গেছে, তাহলে অন্য আরেকটি ব্র্যান্ড ঠিক করুন। লিংকডইনে আপনি অবশ্যই আপনার নিজের নামই ব্যবহার করবেন, তবে আপনার ব্র্যান্ড নাম এমনভাবে সেখানে ব্যবহার করুন যাতে তা সহজেই চোখে পড়ে।
এটি করা তেমন কঠিন কিছু না। জটিল ওয়েবসাইট ব্যবহারে ঝামেলা না করে আপনি সহজেই পরিচিত সেবা যেমন ওয়ার্ডপ্রেস দিয়েই আপনার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারেন (অন্য বিকল্পও রয়েছে, তবে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করাটা সহজ)। আপনি নিশ্চয়ই কোন গতানুগতিক ওয়েবসাইট চাইবেন না কারণ সেগুলো কেমন জানি গৎবাঁধা সাধারণ অনুভূতির সঞ্চার করে থাকে।
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কষ্ট করে আলাদাভাবে কাজ করার চেয়ে, এমন একটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করুন যার ফলে একই সময়ে সবখানে আপনি কোনকিছু পোস্ট করতে পারবেন। আপনি হটসুট এর ফ্রি ভার্সন ব্যবহার করে দেখতে পারেন, এছাড়াও এরকম আরো ফ্রি এবং টাকা দিয়ে কিনতে হয় এমন বিকল্পও রয়েছে।
আপনার ফুল-টাইম ব্লগার হওয়ার দরকার নেই। বরং নিয়মিতভাবে আপনি যে পণ্য বিক্রি করে থাকেন তার ব্যাপারে দরকারি টিপস শেয়ার করুন বা শেয়ার করতে পারেন প্রাসঙ্গিক খবর এবং নিজের ব্যক্তিগত আপডেট যা আপনার ব্যাপারে একটি ইতিবাচক ধারণা দেবে। যেমন – কোন মানবসেবার কাজের আপডেট যেখানে আপনি যুক্ত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।