জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন মিথুন ও সহ-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হাসান রাসেলকে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। অধিকতর তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সাথে কোনোরূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১০ জানুয়ারি এলিফ্যান্ট রোডে মাল্টিপ্ল্যান দোকান মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হককে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী “ইমন গ্রুপ” এর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে নিউমার্কেট থানায় মামলা করেন সমিতির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল হাসান।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, রিমান্ডে নেওয়া এক আসামি জানায় তাকে ঘটনাস্থলে যেতে নির্দেশ দিয়েছিলেন ছাত্রদল নেতা মিথুন। ইমন গ্রুপের মূলহোতা সানজিদুল হাসান ইমনের হয়ে ধানমন্ডি এলাকার চাঁদা তোলার কাজ করেন মিথুন। সেই মিথুনকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাবার পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানায় আনা হয়। আটক মিথুনকে বহনকারী পুলিশের গাড়ি নিউমার্কেট থানা প্রাঙ্গণে প্রবেশকালে বাঁধা দেয় মিথুনের সমর্থকেরা। এক পর্যায়ে মিথুনকে পুলিশের হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিতে থানায় হামলা করে ছাত্রদল-যুবদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। এসময় হামলায় নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) তারিক লতিফসহ চার থেকে পাঁচ জন পুলিশ কর্মকর্তা গুরুতর আহত হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।