জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরের শ্রীপুরে পুলিশের এক কর্মকর্তা এক ব্যবসায়ীকে হাতকড়া পরিয়ে আটকের পর দুই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আটকের পর ওই ব্যবসায়ী হাতকড়া পরা অবস্থায় নিজের মোবাইল ফোনে সেলফি তুলে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। এরপর আটক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দিয়ে টাকাও ফেরত দিয়েছেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার নয়নপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর নাম সবুজ সরকার (২৬)। তিনি শ্রীপুর উপজেলার ধনুয়া গ্রামের আফতাব উদ্দিন সরকারের ছেলে। সবুজ সরকার নয়নপুর হানু মার্কেটে মোবাইল অ্যাকসেসরিজের ব্যবসা করেন। অভিযুক্ত উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল কুদ্দুস মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ।
সবুজ সরকারের অভিযোগ, শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের শিল্পবিষয়ক সম্পাদক সুলতান সরকারের ইশারায় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তাকে আটক করেন। আটকের পর পানির পাইপের সঙ্গে তাকে হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়।
ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী জানান, গত শুক্রবার বিকেলে নয়নপুর হানু মার্কেট এলাকা থেকে তাকে আটক করেন এসআই আবদুল কুদ্দুস। আটকের পর তার সঙ্গে থাকা দুই লাখ টাকাসহ একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেন পুলিশের ওই এসআই।
পরে ফাঁড়ির পাশে পানির পাইপের সঙ্গে তাকে হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়। ওই অবস্থায় তিনি মোবাইল ফোন থেকে সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেন। তা দেখে তড়িঘড়ি তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাকে ছেড়ে দেওয়ার পর ছিনিয়ে নেওয়া দুই লাখ টাকাও ফেরত পাঠিয়েছেন এসআই কুদ্দুস।
সবুজ সরকার অভিযোগ করেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। আমার বাবার সঙ্গে চাচা সুলতান উদ্দিন সরকারের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। আমার চাচার ইশারায় এসআই কুদ্দুস আমাকে আটক করেছিলেন।’
তবে অভিযুক্ত মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘সবুজ সরকারকে আটক করা হয়েছিল। তবে তাকে পুলিশ ফাঁড়িতে নেওয়া হয়নি। জমিসংক্রান্ত বিরোধের কারণে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় তাকে আটক করা হয়।’
আটকের সময় সবুজ সরকারের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন ওই এসআই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।