আমাদের দেশে নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংকের স্টাফ মেম্বাররা বিশ বছর পর্যন্ত অর্থ সম্পদ কয়েন ভল্টের লকার এ জমা করতে পারে। ইনভেস্টিগেশন করে দেখা যায় যে, প্রায় 300 কর্মকর্তা এ ধরনের লকার ইউজ করছে।
পর্যবেক্ষকরা মনে করে যে, এ ধরনের সুবিধা দেওয়া হলে অনৈতিক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পেতে পারে। দেশের ভেতরে অবৈধ অর্থ আড়াল করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। এসব ভোল্ট এর মধ্যে স্বর্ণ সহ নগদ অর্থ রিজার্ভ রাখা যায়। গোয়েন্দারা যখন স্বর্ণ জব্দ করে তারাও ভল্টের মধ্যে স্থাপন করে। দুদক বিশ্বাস করে যে, ব্যাংকের কর্মকর্তারা তাদের ব্যক্তিগত অবৈধ সম্পদ লকারে গোপন করে রাখছে। বর্তমানে এসব লকার ফ্রিজ করে রাখা হয়েছে।
গত ২৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর লকার খুলে দেশি-বিদেশি মুদ্রা, স্বর্ণালংকারসহ ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। যা তাঁর নিয়মিত আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করা হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের জন্য এমন লকার সুবিধা প্রশ্নবিদ্ধ।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘কোনো বিশেষ প্রভাবশালী কর্মকর্তা বা কর্মচারিকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য তাদের বৈধ বা বৈধ আয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ জমা রাখার জন্য এক ধরনের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হয়েছে। প্রকারান্তরে এ ধরনের অবৈধ সম্পদ অর্জনের ঘটনাকে উসকে দেওয়া হয়েছিল কিনা–এ ধরনের প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়া খুবই স্বাভাবিক।’
গত দেড় দশকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সাবেক ও বর্তমান বেশ কয়েকজনের বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।