Close Menu
Bangla news
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
Bangla news
Home ব্যাংক খাতে ‘ব্ল্যাকহোল’, ১০ ব্যাংক ‘ভেতরে ভেতরে দেউলিয়ার দ্বারপ্রান্তে’: শ্বেতপত্র
অর্থনীতি-ব্যবসা জাতীয়

ব্যাংক খাতে ‘ব্ল্যাকহোল’, ১০ ব্যাংক ‘ভেতরে ভেতরে দেউলিয়ার দ্বারপ্রান্তে’: শ্বেতপত্র

Tomal IslamDecember 3, 20249 Mins Read
Advertisement

বাংলাদেশ ব্যাংকজুমবাংলা ডেস্ক : দেশের ব্যাংকিং খাতে দুরবস্থার জন্য তিন শ্রেণির ব্যক্তিদের দায় দেখতে পেয়েছে অর্থনীতির হালচাল জানতে গঠিত কমিটি; যাদের তৈরি শ্বেতপত্রে বেসরকারি ১০টি ব্যাংক ‘ভেতরে ভেতরে দেউলিয়ার দ্বারপ্রান্তে’ চলে যাওয়ার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তারল্য সংকট তীব্র হওয়ায় এসব ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদী সমস্যায় পড়বে বলে এত আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

রবিবার অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তার কার্যালয়ে ক্ষমতাচুত্য আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের অর্থনীতি নিয়ে প্রনয়ণ করা এ শ্বেতপত্র জমা দেন কমিটির প্রধান অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

‘ডিসেকশন অব এ ডেভেলপমেন্ট ন্যারেটিভ’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি শিগগিরই জনসাধারণের জন্য প্রকাশ হবে বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে। তবে এটির খসড়া শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির ফেইসবুকে পেইজে প্রকাশ করা হয়।

কমিটির প্রতিবেদন বলছে, শেখ হাসিনার শাসনামলের দুর্নীতি, লুণ্ঠন এবং ভয়ংকর রকমের আর্থিক কারচুপির যে চিত্র প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে তা আতঙ্কিত হওয়ার মত।

আওয়ামী লীগ সরকার আমলে ব্যাংক খাতে অনিয়ম নিয়ে বলা হয়, ‘রাজনৈতিকভাবে’ প্রভাবিত ঋণ প্রদানের অনুশীলন ব্যাংকিং খাতের ‘সংকটকে গভীরতর’ করেছে।

শ্বেতপত্রের খসড়ায় বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা ও বাইরের প্রভাবশালীদের যৌথ নেতৃত্বে সংঘঠিত বিভিন্ন অনিয়মে ব্যাংক খাত এমন বিপর্যস্ত অবস্থা তৈরি হয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০২৪ সালে এমনটি যেভাবে প্রকাশ পেয়েছে, এর আগে তা দেখা যায়নি।

খেলাপি ঋণকে ব্যাংক খাতের ‘কালো গর্ত’ হিসেবে চিহ্নিত করে শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, ব্যাংক খাতের সমস্যা যতটুকু দৃশ্যমান হচ্ছে এর চেয়ে অন্তত তিনগুণ বেশি অদৃশ্য রয়ে গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত ২০১০ সাল থেকে দেশের ব্যাংকগুলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া শুরু করে। এ কারণে ব্যাংক খাতের প্রায় এক তৃতীয়াংশ ঋণই খারাপ বা খেলাপি হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক যা দেখাচ্ছে, এর চেয়ে অনেক বেশি ঋণ খারাপ হয়ে গেছে। আর্থিক প্রতিবেদনে কাগজে কলমে ‘উইন্ডো ড্রেসিং’ করে মুনাফা দেখাচ্ছে ব্যাংক।

এতে বলা হয়, বেসরকারি ১০টি ব্যাংক ভেতরে ভেতরে দেউলিয়ার দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছে। তারল্য সংকট তীব্র হওয়ায় এসব ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদী সমস্যায় পড়বে।

খেলাপি ঋণ বারবার পুনঃতফসিল করে নিয়মিত করা, পুনগর্ঠন করা, অবলোপন ও সুদ ছাড় দেওয়ায় বিতরণ করা ঋণে খেলাপির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। খারাপ ঋণের অঙ্ক গত জুন শেষে পৌনে সাত লাখ কোটি টাকায় চলে গিয়েছে বলে তুলে ধরা হয় শ্বেতপত্রে। তবে সেপ্টেম্বর শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণের যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে মোট খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা।

ব্যাংক খাতে ‘ব্ল্যাক হোল’

চারশ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্রের চূড়ান্ত খসড়ায় ‘দ্য ব্যাংকিং সিস্টেম- ডিপ ইন টু এ ব্ল্যাকহোল‘শীর্ষক অধ্যায়ে দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা কোন ধরনের পরিবেশের মধ্যে দিয়ে চালানো হয়েছে সেটির একটি সম্যক ধারণা দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, আগের সরকারের মেয়াদ শেষে একটি ‘দৈন্য দশায়’ উপনীত হওয়া আর্থিক তথা ব্যাংক ব্যবস্থা পেয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিশেষ করে ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের আর্থিক প্রতিবেদনগুলো আস্থা হারিয়েছে। এ খাতগুলোতে এত বেশি অনিয়ম, দুর্নীতি, ঋণ খেলাপি, কেলেঙ্কারি, জালিয়াতি ও অনৈতিক ব্যাংকিং চর্চা করা হয়েছে যে, বিদ্যমান নীতিমালার পুরো বিরুদ্ধে গিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে।

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ‘দখল-দারিত্বে’ পরিণত হয়েছিল; ‘ক্রনিইজম’ ব্যবসায়িক মডেলে পরিণত হয়। ‘ক্রনি ক্যাপিটালিজম‘ মানে হচেছ এমন এক অর্থ ব্যবস্থা যেখানে ব্যবসায়ীরা রাজনীতিবিদ ও সরকারি আমলাদের সঙ্গে মিলেমিশে অর্থ ব্যবস্থাকে নিজেদের মন মত পরিচালিত করে।

ব্যাংকিং খাতের দুরবস্থার কথা তুলে ধরা হলেও সুর্নিদিষ্ট কোনো কেলেংকারির কথা তুলে ধরা হয়নি বিশাল এ শ্বেতপত্রে।

ব্যাংকের দুরবস্থার জন্য সরকার, রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মচারি, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্ব ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, এক শ্রেণির ব্যাংকার ও ব্যবসায়ীদের দায়ী করা হয়। তবে নির্দিষ্টভাবে কাউকে দায়ী করা হয়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষক আল আমিন দায়ী ব্যক্তিদের নাম প্রকাশের দাবি করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোও বলেছে, নষ্ট আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা সম্মিলিতভাবে অসৎভাবে দেশের ব্যাংকসহ আর্থিক খাত লুটাপাট করেছে। পুরো ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ যখন নষ্টদের হাতে চলে যায় তখন কোনো সিস্টেমই কাজ করে না।

”জবাবদিহিতা ও গণতন্ত্র না থাকায় ধীরে ধীরে ব্যাংক খাত ধ্বংস হয়েছে। এখন আমরা জানতে পারছি কতটা খারাপ হয়ে গেছে ভেতরে ভেতরে। যারা দায়ী তাদের নাম প্রকাশ করা উচিত। তাদের বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিলে ভবিষ্যতে হয়ত কেউ সাহস করবে না অপরাধের পুণরাবৃত্তি করার।”

ব্যাংক খাত খারাপ হতে শুরু করে ২০১০ সাল থেকে

আর্থিক খাতের মধ্যে ব্যাংকগুলোর সম্পদের আকার গত জুন শেষে দাঁড়িয়েছে ২৫ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪৭ শতাংশ। ব্যাংকে আমানতের পরিমাণ হচ্ছে ১৮ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩৪ শতাংশ। গত ২০০১ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণ হয়। অর্থনীতির এমন অবস্থা বেসরকারি খাতে ঋণ দেওয়াকে গুরুত্বর্পূণ হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়।

কিন্তু ধীরে ধীরে শক্তিশালী হতে থাকা ব্যাংকিং খাত নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে শুরু করে মূলত ২০১০ সালের পর থেকে। শ্বেতপত্রে এর ব্যাখ্যায় বলা হয়, বিভিন্ন উপায়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ও সরকারের নীতিমালায় পরির্ব্তন আনা হয় সাময়িকভিত্তিতে। দ্রুত নেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত ও ভুল জায়গায় ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে এটি শুরু হয়।

নীতি র্নিধারণী সিদ্ধান্তে বদলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- আর্থিক খাতের অন্যান্য সূচকের সঙ্গে সাজুস্য করে রাখা বাজারভিত্তিক সুদহারকে ৯ শতাংশে স্থির রাখা, স্মার্ট রেট ব্যবস্থা, করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে জামানতবিহীন ঋণ দেওয়া, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার ব্যবস্থায় ক্রলিং পেগ ব্যবস্থা চলু করার মত বিষয় ছিল।

২০২০ সালের এপ্রিল মাসে বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে রাজধানীর সোনারগাও হোটেলে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ব্যাংক ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ করে নির্ধারণ করে দেন।

ওই সময়ে ব্যাংক খাতে সর্বোচ্চ সুদহার ছিল ২২ শতাংশ। নানা বিতর্কের পর আর্থিক সংকটে পড়ে গত বছরের শুরুতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফ এর সঙ্গে ঋণ চুক্তিতে যাওয়ার পরে ধীরে ধীরে সুদ হার বাড়াতে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক।

চলতি বছরের শুরুতে তা বাজারভিত্তিক হয় শুধু কাগজে কলমে বলে শ্বেতপত্রে তুলে ধরা হয়। গত ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নেতৃত্বেও বদল হয়। সেই বদলের পড়ে আইএমএফর শর্ত বাস্তবায়ন ও আগের অনেক নীতি বাদ দেয়া শুরু হয়েছে বলেও শ্বেতপত্রে বলা হয়।

আর্থিক খাতের দৈন্য দশা কাটাতে ২০২২ সালের মে মাস থেকে এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরর নীতি সুদহার (পলিসি রেট) ৫২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়। এখন নীতিসুদ হার ১০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সামনের দিকেও সহায়তা করবে বলে মনে হয়।

’খারাপ ঋণ পৌনে সাত লাখ কোটি’

দেখানো খেলাপি ঋণের পরিমাণ সাম্প্রিতিক বছরগুলোতে দ্রুত বেড়েছে। ২০২১ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেখানো খেলাপি ঋণের হার ছিল ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। সেখানে চলতি বছরের জুন শেষে ১২ শতাংশ পার হয়ে যায়। খেলাপি ঋণের মধ্যে ৮৮ শতাংশই হচ্ছে মন্দ মানের ঋণ।

খেলাপি ঋণ ও খেলাপি না দেখানো ঋণকে ব্যাংক খাতের ‘কালো গর্ত’ হিসেবে তুলে ধরে সমস্যার গভীরতা সম্পর্কে বলা হয়, যা দৃশ্যমান হচ্ছে প্রকৃত ক্ষতের গভীরতার তিন গুণ বেশি।

গত জুন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেখানো খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল দুই লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা, যা গত সেপ্টেম্বরে হয় দুই লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকার বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের দেখানো খেলাপি ঋণের তথ্য নিয়ে বরাবরই আপত্তি জানিয়ে আসছে দেশি অর্থনীতিবিদদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও।

শ্বেতপত্রের খসড়া প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের খারাপ এই ঋণ তথ্যে পুনতফসিল করা দুই লাখ ৭২ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা, অবলোপন করা (রাইট অফ) ৭৫ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকা, স্পেশাল মেনশন অ্যাকাউন্টসের ৩৯ হাজার ২০৯ কোটি টাকা ও উচ্চ আদালতের স্থিতিতাদেশ থাকা ৭৬ হাজার ১৮৫ কোটি টাকাকে খেলাপী হিসেবে দেখানো হয়নি। এসব ঋণও খেলাপী হয়ে গেছে।

সব মিলিয়ে প্রকৃত খেলাপির পরিমাণ ছয় লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। বিশাল এই অঙ্ক ১৩টি মেট্টোরেল ও ২২টি পদ্মা সেতু নির্মাণ ব্যয়ের সমান।

মন্দ মানের ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন রাখার বাধ্যবাধকতা আছে। গত জুন শেষে মন্দ মানের ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলো প্রভিশন রেখেছে ৮৯ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা, যেখানে প্রয়োজন ছিল এক লাখ ৭৬ হাজার ৮৮৯ কোটি টপাকা।

খেলাপি ঋণের ৫৫ শতাংশ উৎপাদন খাতের। ব্যাংক খাতের এরকম দুরবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও বাইরের প্রভাবশালীদের যৌথ প্রচেষ্টায় হয়েছে। বিশেষ করে এই দুই শ্রেণির জড়িত হওয়ায়র বিষয়টি ২০১৫ থেকে ২০২৪ সালে যেভাবে প্রকাশ পেয়েছে, ইতোপূর্বে তা দেখা যায়নি।

শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, এই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বের সঙ্গে যখন সরকারের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। এরফলে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করে ২০২৩ সালে উদ্যোক্তা পরিচালকদের সংখ্যা ও মেয়াদ বাড়ানো হয়।

নতুন সংশোধনীতে পরিচালকদের মেয়াদ বাড়িয়ে ১২ বছর করা হয়। ২০১৮ সালের সংশোধনীতে যা ছিল ৯ বছর। একইভাবে এক পরিবার থেকে পরিচলক সংখ্যা চারজনে উন্নীত করা হয়েছিল, ২০২৩ সালের সংশোধনীতে তা কমিয়ে তিনজনে নামানো হয়।

গ্রুপের এক কোম্পানি খেলাপি হলে অন্যদের ঋণও খেলাপি ধরা হওয়ার বিধানটি বাদ দেয়া হয়। এসব কারণে ব্যাংক খাত দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

মুনাফা বাড়িয়ে দেখানো হয় ২০২২ সালে

খেলাপি ঋণের উচ্চ বৃদ্ধিতে ব্যাংকগুলোতে মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত গত জুন শেষে দাঁড়িয়ে ১০ দশমিক ৬৪, যা নিয়ম অনুযায়ী ১০ শতাংশের নিচে থাকার কথা। অনেক ব্যাংক বিপদের সময়ে তারল্য সংকট মোকাবেলা করতে অতিরিক্ত আড়াই শতাংশ হারে নগদ অর্থ জমা রাখার সামর্থ্য হারিয়েছে।

এতে ব্যাংকিং খাতের বিনিয়োগকারীদের বছর শেষে লভ্যাংশ দেওয়ার পরিমাণ ও সক্ষমতা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। সব ধরনের নীতিমালা ভঙ্গ করে ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণ লুকিয়ে, তার বিপরীতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ (প্রভিশন) কম রেখে মুনাফা বাড়িয়ে দেখিয়েছে বলে শ্বেতপত্রের খসড়ায় বলা হয়।

এতে বলা হয়, শুধু ২০২২ সালে ৭৭ শতাংশ দশমিক ৩০ শতাংশ ব্যাংক প্রভিশন রেখে লাভ দেখিয়েছে বছর শেষে। তার আগের দুই বছর ধরেই প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ ও অর্থ ঘাটতির পরিমাণ ব্যাংক খাতে হু-হু করে বাড়ছিল।

ইসলামী ব্যাংকসহ শরীয়াহভিত্তিক প্রায় সব ব্যাংক, কয়েকটি বেসরকারি খাতের প্রচলিত ব্যাংক এখন তীব্র তারল্য সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গত ডিসেম্বরের পর থেকেই এসব ব্যাংকে তারল্য সংকট বাড়ছে। দৈনিক ভিত্তিতে ব্যাংকগুলো ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার কোটি টাকার নগদ টাকার ঘাটিতিতে রয়েছে বলা হয়।

মোট ১০ বেসরকারি ব্যাংক এই সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ৮টির দেউলিয়া হয়েছে ভেতরে ভেতরে। বাকি দুটি তারল্য সংকট সমাধানের পথে আছে। অবশ্য প্রতিবেদনে ১০ ব্যাংকের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

‘উইন্ডো ড্রেসিং’ করে খেলাপি ঋণ লুকানো হয়

হিসাব বিদ্যায় উইন্ডো ড্রেসিং মানে হচেছ কোনো প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অনিয়ম, দুর্বলতা গোপন রেখে কৃত্রিমভাবে ভালো দেখানো। ব্যাংকের বেলায় দুর্নীতি অনিয়ম করে সরানো অর্থকে গোপন রেখে মুনাফা দেখানো। এ কারণে দেশের প্রায় সব ব্যাংকের রেটিং কমে যাচেছ বলে শ্বেতপত্রের খসড়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

দেশের বেসরকারি খাতে এমন ১০টি ব্যাংক পাওয়া গেছে, যার মধ্যে শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংকও রয়েছে। তারল্য সংকট, ঋণ কেলেঙ্কারির কারণে এসব ব্যাংকের নাম সবার জানা।

শ্বেতপত্রে বলা হয়, দেশের মোট আমানত বাজারের ৩২ শতাংশ এসব ব্যাংকের। অন্যদিকে ঋণ বিবেচনায় ব্যাংক খাতের মোট ঋণের ৩৩ শতাংশ এগুলোর। কিছু সংস্কারমূলক উদ্যোগ নেওয়ায় এগুলোর মধ্যে ৮টির তারল্য সংকট উত্তরণের পথে যাচ্ছে।

শ্বেতপত্রের ধারণাগত বিষয়ে অর্থনীতির ক্ষত সাড়তে খুব একটা কাজে লাগবে না বলে মনে করেন স্থানীয় শিল্পের বিকাশ ও টেকসই প্রযুক্তি উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ বেসরকারি আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হুমায়রা ফেরদৌস।

সুর্নিদিষ্ট কারণ, দায়ী ব্যক্তি শনাক্ত ও কীভাবে এত অনিয়ম হল, সেসব ঘটনা প্রকাশ করার তাগিদ তার।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “দশটি ব্যাংকের নাম প্রকাশ করা উচিত। আমানতকারীরা জানতে চাইবেন কোন দশটি, এটি যদি জানতে না পারেন তাহলে পুরো ব্যাংক খাতে চাপ তৈরি করবে। এসব ব্যাংক বাদ দিতে পারবেন গ্রাহকরা।’’

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘জাতীয় ১০ অর্থনীতি-ব্যবসা খাতে দেউলিয়ার দ্বারপ্রান্তে ব্যাংক ব্ল্যাকহোল! ভেতরে শ্বেতপত্র
Related Posts
remittance

অর্থবছরের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো নভেম্বরে

December 1, 2025
EC-Anwar

আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেই প্রার্থিতা বাতিল : ইসি আনোয়ারুল

December 1, 2025
Postal Vote

সৌদি আরবসহ ৭ দেশে পুনরায় চালু হয়েছে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন

December 1, 2025
Latest News
remittance

অর্থবছরের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো নভেম্বরে

EC-Anwar

আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেই প্রার্থিতা বাতিল : ইসি আনোয়ারুল

Postal Vote

সৌদি আরবসহ ৭ দেশে পুনরায় চালু হয়েছে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন

সাদিক কায়েম

ডিবি কার্যালয়ে সাদিক কায়েম

প্রেস সচিব

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন, স্পষ্ট বার্তা প্রেসসচিবের

এলপিজির নতুন দাম

ডিসেম্বর মাসের এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণ কবে, জানালো বিইআরসি

পে স্কেল

নতুন পে স্কেল নিয়ে যে মতামত দিলেন সচিবরা

শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড

গ্রেড নিয়ে শিক্ষকদের বড় সুখবর দিলেন উপদেষ্টা

ডিটওয়া’য়

শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়া’য় প্রাণহানিতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

পদোন্নতি পেয়ে সহকারী সচিব

পদোন্নতি পেয়ে সহকারী সচিব হলেন ২২ কর্মকর্তা

  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.