জুমবাংলা ডেস্ক: দেশের প্রখ্যাত আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল রফিক-উল হক আর নেই। রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আন্দালিব পার্থ বলেছেন, ‘ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ছিলেন আমার এবং বাবার অভিভাবক। স্যার না থাকলে আমি হয়তো আজ আমি হতাম না। স্যার আমার অভিভাবক ছিলেন। আমার বাবারও অভিভাবক ছিলেন।’
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মৃত্যুর পর ব্যারিস্টার আন্দালিব পার্থ তার ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার আন্দালিব পার্থের দেয়া স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘চলে গেলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, স্যারকে নিয়ে লিখে শেষ করতে পারবে না। তখন আমার বয়স ১৭, ভবিষ্যতে কী করব তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না। হঠাৎ ডেকে নিয়ে গেলেন স্যার। বলল ল’ পড়, তুই পারবি, নিজে গ্যারান্টি হয়ে ভিসা করে দিলেন, কলেজে ভর্তি করে দিলেন। নিজের ভাইকে দায়িত্ব দিলেন লন্ডনে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে।’
‘সেই থেকে আমার শুরু, ফিরে এসে স্যারের সঙ্গেই কাজ শুরু। স্যার না থাকলে আমি হয়তো আজ আমি হতাম না। স্যার আমার অভিভাবক ছিলেন, আমার বাবারও অভিভাবক ছিল।’
‘জীবনের সকল উপার্জন নীরবে দান করে গেছেন। কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। একজন বিপদের বন্ধু, জাতির অভিভাবক। A True Legend (সত্যিকারের কিংবদন্তি) চিরকাল ঋণী থাকবে। আল্লাহ জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক।’
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ এ আইনজীবী (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। আদ-দ্বীন হাসপাতালের পরিচালক ডা. অধ্যাপক নাহিদ ইয়াসমিন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।