আবু সাঈদ, বেরোবি প্রতিনিধি : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী ও হল সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনেও সকাল থেকে কার্যালয়ে আসেননি নির্বাচন কমিশনের কেউ। এতে সকাল থেকে চেষ্টা করেও নির্ধারিত সময়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেনি কোনো প্রার্থী।প্রার্থীদের অভিযোগ, সকাল থেকে তারা একাধিকবার চেষ্টা করেও মনোনয়ন জমা দেওয়ার সুযোগ পাননি।

নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী আজ সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ছিল মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ সময়। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনারগণ উপস্থিতি না থাকায় কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। এতে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রার্থীরা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্যারিয়ার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক প্রার্থী উম্মে হানি তানিয়া বলেন, “প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন আমাদের সাথে প্রতিনিয়ত প্রহসন মূলক আচরণ করছে। নির্বাচন কমিশন আমাদেরকে না জানিয়ে ইচ্ছামতো নির্বাচন স্থগিত করছে। নির্বাচনের কারণে ঠিকমত আমাদের পড়াশোনা ও একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছি না। আজ মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন হলেও সকাল থেকে কমিশনাদের কারো দেখা মেলেনি। ”
বেরোবি শিক্ষার্থী পরিষদ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আহমদুল হক বলেন, “আজকে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষদিন। সেহেতু আমি সকাল থেকে কমিশনে ৩-৪ বার এসেছি মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার জন্য। কিন্তু একবারও ব্রাকসু নির্বাচন কমিশনের কাউকে খুঁজে পায়নি। এদিকে বিকাল চার টায় মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় শেষ হচ্ছে এখনো কমিশনারগণ কার্যালয়ে আসেনি। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের প্রহসনমূলক নাটক শিক্ষার্থীরা কোনভাবে মেনে নেবে না। ডিসেম্বরের ২৪ তারিখে নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীরা কঠোর জবাব দেবে।”
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র বিষয়ক সম্পাদক পদের প্রার্থী জাহিদ হাসান জয় বলেন, “তফসিল অনুযায়ী আমরা আজকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসি। এসে দেখি এখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনের কেউ নেই।আমরা এর আগে ৩-৪ বার এসেছি কিন্তু মনোনয়ন জামাদানের মত কাউকে পাইনি। মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়ার এখন আর মাত্র কয়েক মিনিট বাকি আছে এখনো কমিশন আমাদের অফিশিয়ালি কোনো কিছু জানায়নি৷ এটা একটা প্রহসন ছাড়া কিছুই না৷ কমিশন আমাদের গতকাল কথা দিয়েছিল ২৪ ডিসেম্বর নির্বাচন করবেন কিন্তু তারা আজকে আমাদের না জানিয়ে মনোনয়ন জমা নিচ্ছেন না৷”
এ বিষয়ে জানতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ একাধিক কমিশনারকে একাধিকবার কল করা হলেও তাদের কাউ কল রিসিভ করেননি ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: শওকাত আলী বলেন, নির্বাচন কমিশনার মনোনয়নপত্র জমা নিচ্ছেন না বা নির্বাচন কমিশনার কার্যালয়ে কেন নেই এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। এই বিষয়ে আপনারা নির্বাচন কমিশনারদের জিজ্ঞেস করলে সঠিক তথ্য পাবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



