জুমবাংলা ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম বিদ্যানগর শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে নলকূপের পাইপ বসাতে গেলে তীব্র গতিতে ও বিকট শব্দে গ্যাস, পানি, বালু বের হচ্ছে। বুধবার সকাল ৯টা দিকে এই ঘটনার শুরু। আতঙ্কে স্কুল ছুটি ঘোষণা করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। গ্যাস পরীক্ষা করছেন কর্মকর্তারা।
শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আলভী রহমান ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল আক্তার সুমাইয়া জানায়, গত সোমবার থেকে তাদের স্কুলে একটি গভীর নলকূপ বসানোর কাজ চলছিল। প্রতিদিনকার মতো বুধবারও তারা স্কুলে আসে। পরে সকাল ৯টার দিকে হঠাৎ করে তারা দেখতে পায়, নলকূপের মুখ দিয়ে তীব্র গতিতে গ্যাস এবং সঙ্গে পানি ও বালু বের হয়ে আসছে। এ অবস্থায় পুরো স্কুলের মাঠ ডুবে যায়। পরে শিক্ষকেরা তাৎক্ষণিকভাবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল ছুটি ঘোষণা করেন।
শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের গ্যাস উদগিরণ স্থল থেকে কসবা সালদা গ্যাস ক্ষেত্রের দূরত্ব ১ কিলোমিটার।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আজাদুর রহমান জানান, ‘গত সোমবার থেকে শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি গভীর নলকূপ বসানোর কাজ চলছিল। নলকূপের পাইপ ৫৪০ মিটার গভীরে প্রবেশ করার পর গতকাল বুধবার সকাল থেকে তীব্র গতিতে ও বিকট শব্দে গ্যাস পানি ও বালু বের হয়ে আসতে থাকে। এতে করে পুরো বিদ্যালয়ের মাঠ মুহূর্তেই বালু এবং কাদাযুক্ত পানিতে ডুবে যায়। এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। পরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিদ্যালয়টি অনির্দিষ্টকালের জন্যে ছুটি ঘোষণা করেন।’
বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন ভূইয়া জানান, ‘বিদ্যালয়ে গ্যাসের অস্তিত্ব সম্পর্কে স্থানীয় সংসদ সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে সালদা গ্যাস ফিল্ড, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে আশপাশের বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে।’
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঢাকা থেকে পেট্রোবাংলা এবং সালদা গ্যাসক্ষেত্রের জিওলজিক্যাল বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত পরীক্ষা করছেন। তাদের বরাত দিয়ে সালদা গ্যাস ক্ষেত্রের অপারেটর রেজাউল করীম জানান, ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করবেন জিওলজিক্যাল বিশেষজ্ঞরা। পরে তারা এই গ্যাস পকেট গ্যাস নাকি স্থায়ী গ্যাস, সে বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন।
এদিকে উৎসুক জনতার ভিড় ঠেকাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কসবা থানার উপ-পরিদর্শক জিহাদ দেওয়ান জানান, উৎসুক জনতার ভিড় ঠেকাতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ পুরো এলাকাটি ঘিরে রেখেছে।
তথ্যসূত্র : বাংলাট্রিবিউন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।