কাশিয়ানীতে। সেতু দখল করে তার ওপর কার্যালয়ও বানিয়েছেন কাশিয়ানীর মহেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম আজাদ। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, এভাবে সেতু দখল করে কার্যালয় বানানোর কারণে দেখতে খারাপ লাগে।
জুমবাংলা ডেস্ক: ব্রিজের উপর বাড়ি দেখেছেন কখনো? বলবেন, তা আবার হয় নাকি? কিন্তু সেটাই হয়েছে গোপালগঞ্জ জেলারবিস্তারিত পড়ুন পাবলিক সার্ভিসেস হেল্প গ্রুপ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলনের দেয়া পোস্টে-
‘সকালে ছবির লোকেশন চেয়ে এই গ্রুপে পোস্ট দিয়েছিলাম। কাশিয়ানী, গোপালগঞ্জ। বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে কমেন্ট বক্সে। পরিত্যাক্ত ব্রিজের উপর ইউপি চেয়ারম্যান খন্ডকালীন কার্যালয় বানিয়েছেন। অবৈধ দখল।
অনেক বছর আগে ঢাকা গোপালগঞ্জ খুলনা রোডের জন্য রাস্তা তৈরির আগেই ব্রিজটি বানানো হয়েছিল (আমাদের কমন প্র্যাকটিস)। পরে মহাসড়কের এলাইনমেন্ট সরে যাওয়ায় পাশে নতুন ব্রিজ তৈরি করে চালু হয় এই মহাসড়ক।
ফলে রাস্তা ছাড়া ব্রিজটি হয়ে যায় পরিত্যাক্ত, চলে যায় অবৈধ দখলে। হতে থাকে অবৈধ ব্যবহার। এর আগে অনেকেই দখল করেছে। উচ্ছেদ হয়েছে, সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাঁর কার্যালয় বানিয়েছেন।
কিছুক্ষণ আগে কাশিয়ানী উপজেলা ইউএনও সাহেবের সাথে কথা হলো। তিনি ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে কথা বলে জানালেন, দুই তিন দিনের মধ্যেই কার্যালয় সরিয়ে নেবেন। ইউএনও সাহেবেকে বলে দিয়েছি, এরপর যোগাযোগ করে কোন ব্যবহার না থাকলে বা ভবিষ্যতে না হলে নিলামে ভেঙ্গে অর্থ রাজস্ব খাতে জমা দেবার ব্যবস্থা করার জন্য।
রাস্তা নেই কিন্তু ব্রিজ। শুনলাম ১৯৯৫ সালে এর নির্মাণ শেষ হয়েছে। পড়ে আছে। মানুষ ঘর বাড়ি বানাচ্ছে। দেখতেও খারাপ লাগে। এর চেয়ে ভেঙ্গে ইট সুরকি, রড সিমেন্ট বিক্রি করলেও ইজ্জত বাঁচে।
এরকম ছবি দেখে চুপ করে থাকা আর ধ্বংস ডেকে আনা একই কথা। আমাদের রক্ত কি টিকটিকির রক্তে পরিণত হয়েছে!!!’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।