জুমবাংলা ডেস্ক: লালমনিরহাটে একটি ব্রিজের নিচ থেকে ৬৬ লাখ জাল টাকার একটি বস্তা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই বস্তায় ৬৬টি বান্ডিলে এক হাজার টাকার ১০০টি করে নোট ছিল বলে জানা গেছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের জেলখানা রোডের খোর্দ্দসাপটানা এলাকার একটি ব্রিজের নিজ থেকে ওই টাকা উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, জেলখানা রোডের খোর্দ্দসাপটানা এলাকার একটি ব্রিজের নিচে মাছ ধরতে যান এক ব্যক্তি। এসময় সেখানে তিনি কিছু ছেড়া টাকা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।
তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্রিজের নিচ থেকে এক হাজার টাকার ৬৬টি বান্ডিল উদ্ধার করে। প্রত্যেক বান্ডিলে এক হাজার টাকার ১০০টি করে নোট ছিলো।
স্থানীয় আব্দুস সালাম বলেন, পানির নিচ থেকে আমি টাকার বস্তাটি তুলেছি। উদ্ধার হওয়া সব টাকা আমি হাত দিয়ে নেড়ে দেখেছি। সবগুলোই জাল নোট।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি শাহা আলম জানান, আমরা এক হাজার টাকার ৬৬টি বান্ডিল উদ্ধার করেছি। টাকাগুলোর পিছনে লেখা ছিলো, ‘সাথী সংঘ, লাকী কুপন, ভাগ্য পরিবর্তন।’ ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধারকৃত সবগুলো নোট জাল। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে গ্রাম-শহরের মনিহারি বা মুদি দোকানে সাদা পলিথিনে মোড়ানো ঝুলতে দেখা গেছে চিপসের প্যাকেট। মোড়কের গায়ে নেই কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা, মূল্য বা পণ্যের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ। কিন্তু প্যাকেটের ভেতরে আছে ৫০০ এবং ১ হাজার টাকার হুবহু নতুন জাল নোট। বোঝারই উপায় নেই ওই নোট আসল নাকি নকল। এসব নোটের আকার-আকৃতি, রং, জলছাপ, ক্রমিক নম্বর এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নামযুক্ত স্বাক্ষরসহ সবকিছুই আসল নোটের মতোই অবিকল। শুধু টাকার গায়ে লাল হরফে ছোট করে লেখা আছে নমুনা টাকা।
দোকানিরা বলছেন, বাজারে নতুন এসেছে এ চিপসটি। শিশুদের আকর্ষণ বাড়াতে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান চিপসের ভেতরে নকল টাকার এ নোট দিয়েছে। শিশুরা ওই টাকা পেলে খুশি হয়। তাই এ চিপস বিক্রিও বেশি হয়। আর পুলিশ বলছে, এটা প্রতারণার নতুন ফাঁদ। বাজারে জাল টাকা ছড়ানোর কাজে এবার শিশুপণ্যকে টার্গেট করা হয়েছে। পুলিশ এর বিরুদ্ধে অভিযানে নামবে।
বিএসটিআইয়ের অনুমোদনবিহীন এসব চিপস শিশুদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন মেহেরপুরের সিভিল সার্জন নাসির উদ্দীন। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘বিএসটিআই অনুমোদনবিহীন এসব ভাজাপোড়া খাবার শিশুদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও অস্বাস্থ্যকর। এগুলো খাওয়া থেকে শিশুদের বিরত রাখা উচিত।’
এ ধরনের অনুমোদনবিহীন শিশুখাদ্য ও বাজারে জাল টাকার বিস্তার রোধে পুলিশের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুদের চিপসের ভেতর অবিকল টাকা ব্যবহারের বিষয়টি পুলিশের নজরে এসেছে। অনেকে এমন শিশুখাদ্য বিক্রি বন্ধের দাবি করেছে। ইতিমধ্যে জাল টাকাসহ চিপস বিক্রির অপরাধে কয়েকজন মুদি ও মনিহারি ব্যবসায়ীকে আটক করে পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জাল টাকা ছাপানোর রুট বের করতে সরবরাহকারী ব্যবসায়ী চক্রটিকে ধরার চেষ্টায় আছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।