স্টেথোস্কোপকে ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে শুধু প্রাথমিক শারীরিক সমস্যা নির্ণয়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে ব্রিটিশ গবেষকরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংযোজনের মাধ্যমে একটি নতুন স্টেথোস্কোপ উদ্ভাবন করেছেন, যা মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে হার্ট ফেলিওর, হার্ট ভালভের সমস্যা এবং অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন শনাক্ত করতে সক্ষম।
নতুন এআই স্টেথোস্কোপটিতে প্রচলিত ধাতব চেস্টপিসের বদলে একটি ছোট যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, আকারে খেলনার তাসের মতো। এতে থাকা মাইক্রোফোন হৃদস্পন্দন ও রক্তপ্রবাহের সূক্ষ্ম পার্থক্য ধরে ফেলে, যা মানুষের কান শুনতে পারে না। যন্ত্রটি সঙ্গে সঙ্গে ইসিজি রেকর্ড করে। তথ্য পাঠানো হয় ক্লাউডে, যেখানে এআই সিস্টেম হাজার হাজার রোগীর ডেটা বিশ্লেষণ করে ফলাফল দেয়।
গবেষকেরা বলছেন, এই এআই স্টেথোস্কোপ মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তিন ধরনের গুরুতর হৃদরোগ ধরতে পারে। এগুলো হলো হার্ট ফেলিওর (Heart Failure),
হার্ট ভালভের সমস্যা (Heart Valve Disease) ও অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন (Abnormal Heart Rhythms)।
ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডন ও এনএইচএসের যৌথ গবেষণায় মোট ৯৬টি চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রায় ১২ হাজার রোগীর পরীক্ষা করা হয়েছে এআই স্টেথোস্কোপ দিয়ে। ফলাফলে দেখা গেছে—
ক) হার্ট ফেলিওর শনাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে ২.৩৩ গুণ।
খ) অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন (স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়) শনাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে ৩.৫ গুণ।
গ) হার্ট ভালভের রোগ ধরা পড়েছে ১.৯ গুণ বেশি।
তরুণদের মধ্যে বাড়ছে কোলন ক্যানসার, জেনে নিন ৫টি নিয়ন্ত্রণযোগ্য ঝুঁকি
ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও কার্ডিওলজিস্ট ড. সোনিয়া বাবু-নারায়ণ বলেন, ২০০ বছর আগে আবিষ্কৃত সাধারণ স্টেথোস্কোপ এখন ২১ শতকের প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে। এ ধরনের উদ্ভাবন খুব জরুরি, কারণ অনেক সময় রোগ কেবল তখনই ধরা পড়ে যখন রোগী জরুরি অবস্থায় হাসপাতালে আসেন।
তিনি বলেন, আগেভাগে রোগ ধরা গেলে চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা যায়, ফলে রোগী অনেক ভালো থাকতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।