আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে কম সময় পদে থাকা প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। বরিস জনসনের বদলে দলের নেতা তথা প্রধানমন্ত্রী হন। ৬ সেপ্টেম্বর ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে প্রবেশের মাত্র ৪৫ দিন পরে পদত্যাগ করলেন তিনি। সংক্ষিপ্ত সময় প্রধানমন্ত্রিত্বের আগের রেকর্ডটি ছিল ১১৯ দিন ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী জর্জ ক্যানিংয়ের। তিনি ১৮২৭ সালে কর্মরত অবস্থায় মারা যান।
বিবিসির মতে, লিজ ট্রাসের দ্রুত বিদায়ের কয়েকটি কারণ:
১. প্রধানমন্ত্রী পদে এসেই খুব দ্রুত সমস্যায় পড়ে যান লিজ ট্রাস। ক্ষমতার তৃতীয় সপ্তাহে
তার সমর্থনেই অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং নাগরিকদের সহায়তার লক্ষ্যে ৪৫ বিলিয়ন পাউন্ড কর হ্রাস করেন। উদ্যোগটিকে তারা ‘মিনি-বাজেট’ বলে অভিহিত করেন। কিন্তু একে ব্যাপক অর্থনৈতিক সমস্যা সৃষ্টির জন্য দায়ী করা হতে থাকে। তবে লিজ ট্রাস তখন জোর দিয়ে বলেছিলেন, এ মূহুর্তে এটি ‘সঠিক কাজ। ’ তবে পরে ওই অর্থনৈতিক পরিকল্পনার প্রায় পুরোটাই উল্টে দেন তিনি। কোয়াসি কোয়ার্টেংকে অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্তও করা হয়।
২. নিজের দলের কিছু এমপি প্রকাশ্যে তার সমালোচনা শুরু করেন।
বেশ কয়েকজন টোরি এমপি লিজ ট্রাসকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান। শেষ পর্যায়ে বুধবার তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান পদত্যাগ করেন। সরকারের শীর্ষ পদের ফাঁক পূরণ করতে নিজের একসময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী গ্র্যান্ট শ্যাপস এবং জেরেমি হান্টকে টেনে আনেন তিনি।
৩. বৃহস্পতিবার লিজ ট্রাস নিজেই বলেছেন, তিনি যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পূরণ করতে পারেননি।
১০ ডাউনিং স্ট্রিটের কার্যালয়ের বাইরে পদত্যাগের বক্তৃতায় লিজ ট্রাস বলেন: ‘স্বীকার করছি যে ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে কনজারভেটিভ পার্টি আমাকে প্রধান নির্বাচিত করেছে তা আমি দিতে পারছি না। ’
সূত্র: বিবিসি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।