স্পোর্টস ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিকতার কমতি নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এই দেশে খেলতে এলে কাছে টেনে নিতে চান ক্রিকেটারদের। শত ব্যস্ততার মাঝেও প্রিয় দলকে সমর্থন জোগাতে মাঠে ছুটে যান দল বেঁধে। ব্রিসবেনে বসবাসরত বাংলাদেশিরা শুক্রবার ক্রিকেটারদের জন্য সংবর্ধনার আয়োজন করেছিলেন শহরের ভিক্টোরিয়া চার্চে।
প্রবাসীদের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপ দলের খেলোয়াড়দের কাছে পেয়ে খুশিও হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এই তৃপ্তি বেশিক্ষণ থাকেনি। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের আন্তরিকতার ঘাটতি দেখে হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তাঁরা। আয়োজকদের দিক থেকে অভিযোগ উঠেছে, অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের সঙ্গে ছবি তোলা, ব্যাটে অটোগ্রাফ দিতে রাজি হননি সাকিব। অধিনায়কের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সাড়া না পাওয়ার অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেনি বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্ট।
বাংলাদেশ দল ব্রিসবেনে পৌঁছানোর আগে থেকে ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রবাসী ফারুক রেজা জানান, টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের পরামর্শে বিসিবি ও বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন তাঁরা। সাংবাদিকদের না রাখার শর্তে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন ক্রিকেটাররা। স্বাভাবিকভাবেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসীদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন সাকিব। তাঁর সঙ্গে ছবি তোলার আবদার জানান বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু সাকিব তাতে রাজি হননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রবাসী বলেন, ‘আমরা দেখেছি বড় খেলোয়াড়রা বিনয়ী হন। বিশ্বকাপ সুপার টোয়েলভের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে আসা প্রায় সব দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গেই ছবি তুলেছি আমরা। কেউ আপত্তি করেননি। সেখানে সাকিব তো আমাদের খেলোয়াড়। তাঁর কাছ থেকে তো একটু আন্তরিকতা আশা করতে পারি।
আজ (গতকাল) তিনি যেটা করেছেন, তা অপ্রত্যাশিত। অতিথিরা ছবি তুলতে গেলে সে বলে ওঠে, এটা কি চিড়িয়াখানা? খেলোয়াড়দের হলের ভেতরে নেওয়ার জন্য গেটে ১৫ জন শিশুকে রাখা হয়েছিল। সেই শিশুদের একজন হাত ধরতেই ঝাড়া দিয়ে হাত সরিয়ে নেন সাকিব। তাঁর মতো একজন আইকনের কাছ থেকে সেই শিশু কী শিক্ষা পেল? তবে বাকিরা শিশুদের হাত ধরে ভেতরে গেছেন। ১৪ জন ক্রিকেটার ব্যাটে অটোগ্রাফ দিলেও সাকিব দেননি।’ সাকিবকে বক্তব্য দিতে আহ্বান জানালে শুধু ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করেন বলে অভিয়োগ প্রবাসীদের। সূত্র : সমকাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।