বিনোদন ডেস্ক: মার্শাল আর্ট কিংবদন্তি ব্রুস লিকে নিয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে চলচ্চিত্র। অস্কারজয়ী পরিচালক অ্যাং লি এটি নির্মাণ করছেন। ‘ব্রুস লি’ সিনেমার নাম ভূমিকায় দেখা যাবে অ্যাং লির ছেলে অভিনেতা ম্যাসন লিকে। এ বিষয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সনি পিকচার্সের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন অ্যাং লি।
‘লাইফ অব পাই’খ্যাত নির্মাতা অ্যাং লি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেডলাইন ডটকমের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন—‘ব্রুস লি না আমেরিকান, না চাইনিজ। তিনি পূর্ব-পশ্চিমের একটি সেতু। তিনি চীনা কুং ফু সারা দুনিয়ায় পরিচয় করিয়েছেন। আইকনিক এই পারফরমার মার্শাল আর্ট এবং অ্যাকশন সিনেমায় বিপ্লব ঘটিয়েছেন।’
‘মেধাবী ও অসাধারণ এই মানুষের গল্প বলার জন্য ভেতর থেকে তাগিদ বোধ করছি। যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে অসম্ভব স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন।’ বলেন অ্যাং লি।
ব্রুস লির জীবনী নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য দীর্ঘ দিন ধরে নীরবে কাজ করছেন অ্যাং লি। পাশাপাশি তার ছেলে ম্যাসন লিকেও অ্যাকশনের জন্য প্রস্তুত করেছেন। টানা তিন বছর এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী ম্যাসন লি।
ব্রুস লির জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর চায়নাটাউনে, ১৯৪০ সালের ২৭ নভেম্বর। ১৮ বছর হওয়ার আগেই ২০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। ‘গোল্ডেন গেট গার্ল’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথম পর্দায় পা রাখেন ব্রুস লি। মার্শাল আর্টেই ক্যারিয়ার গড়তে চেয়েছিলেন ব্রুস লি। যে কারণে রুপালি পর্দা থেকে দূরে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রযোজক উইলিয়াম ডজিয়েরের চোখে পড়ে যান তিনি। ১৯৬৬ সালে এবিসি টেলিভিশন সিরিজ ‘দ্য গ্রিন হর্নেট’–এ তাকে দেখা যায় কেটো চরিত্রে। পরের বছরই সিরিজটি বন্ধ হয়ে যায়। তারপর বহু সিনেমা ও টেলিভিশনে সহকারী বা পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেন ব্রুস লি।
হলিউডের বিভিন্ন সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করে বিরক্ত হয়ে পড়েন ব্রুস লি। একসময় তার মনে হয়, আমেরিকায় নয়, হংকংয়েই তার ভবিষ্যৎ। ১৯৭১ সালে তিনি হংকংয়ে চলে যান। ‘দ্য গ্রিন হর্নেট’ সিরিজের কল্যাণে তত দিনে হংকংয়ের ঘরে ঘরে পরিচিত এক নাম ব্রুস লি। হংকংয়েই প্রথম প্রধান একটি চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান ব্রুস লি। এ সিনেমার নাম ‘দ্য বিগ বস’। এ সিনেমা তাকে যশখ্যাতি এনে দেয়। ব্রুস লির সিনেমার সাফল্য তাকে চীনেও জনপ্রিয় করে তোলে। ক্রমশ সারা বিশ্বেই জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে মার্শাল আর্ট।
১৯৭৩ সালের ২০ জুলাই আকস্মিকভাবে হংকংয়ের কাউলুন টংয়ের একটি বাড়িতে মারা যান ব্রুস লি। মৃত্যুর আগে বলছিলেন যে তার মাথা ধরেছে। এ জন্য মাথাব্যথার ওষুধও খেয়েছিলেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৩২ বছর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।