জুমবাংলা ডেস্ক : ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রচারে ডিজিটাল কুইজ প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এ কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করতে ‘বাংলা আমার অহংকার’ ডিজিটাল কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। অনলাইনে এ কুইজ অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় কয়েক হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই যেন বাংলা ভাষা, সাহিত্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং শ্রদ্ধা জানাতে পারে সেই লক্ষ্যেই এ কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। কুইজে অংশগ্রহণকারীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং চিত্তাকর্ষক বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে আত্মপরিচয় এবং ঐতিহ্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, যা তাদের ভাষাগত শেকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত হতে সহায়তা করেছে।
কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের মেজবাউল ইসলাম বিশাল, ডিপার্টমেন্ট অব কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এমডি রিকুম হোসেন, শামিউর রহমান, মনীষা ভৌমিক, অর্ঘ্য প্রতিম অঙ্গন এবং আসিফ ইকবাল খান নুহাশ। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে পুরস্কার জিতেছেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের লেকচারার মির্জা মোহাম্মদ তাউসিফ শরীফ স্নিগ্ধ এবং অফিস অব প্রক্টরের জুনিয়র প্রক্টর মোহাম্মদ খালিদ আমিরুল ইসলাম।
কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ। তিনি তার বক্তব্যে বাংলা ভাষার প্রতি যত্নশীল হতে এবং আমাদের মাতৃভাষাকে আরও এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “একজন বাংলাদেশি হিসেবে বাংলা ভাষা আমাদের পরিচয় এবং ঐতিহ্যের মূল স্তম্ভ। আমাদের ভাষা আন্দোলনের শহিদদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানাতে হবে এবং আমাদের ভাষার যে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য আছে সেটাকে ধরে রাখতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, ‘বাংলা আমার অহংকার’ কুইজ প্রতিযোগিতা বাংলা ভাষার সেই সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যকে উদযাপনের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে।”
কুইজ প্রতিযোগিতা ছাড়াও ছিল বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কবিতা আবৃত্তি, সংগীত পরিবেশনা, নৃত্য প্রদর্শনের সমন্বয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি প্রভাতফেরির আয়োজন করা হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষাশহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।