কোনো বস্তু যখন ব্ল্যাকহোলের ইভেন্ট হরাইজন বা ঘটনা দিগন্ত অতিক্রম করে যাবে, তখনই বস্তুটি প্রচণ্ড মহাকর্ষীয় টান অনুভব করবে। যেহেতু বস্তুর সব অংশ ব্ল্যাকহোলের কেন্দ্র থেকে সমান দূরে থাকবে না, তাই সব অংশের ওপর ব্ল্যাকহোলের আকর্ষণ বল সমান হবে না। হবে ভিন্ন। ফলে ব্ল্যাকহোলের কাছাকাছি থাকা অংশটা অপেক্ষাকৃত দূরের অংশ থেকে বেশি প্রসারিত হবে। এই ঘটনাটি শুধু ব্ল্যাকহোলের ক্ষেত্রেই যে ঘটবে, তা নয়।
পৃথিবীতেও এটা হচ্ছে সবসময়। প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে টের পাই না কেন? উত্তর হচ্ছে, পৃথিবীর অভিকর্ষ বল আমাদের জন্য সহনীয়। এবং এর শক্তিও বেশ কম। তাই, পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে থাকার সময় মাথার চেয়ে আমাদের পা বেশি টান অনুভব করছে কি না, তা আমরা বুঝতে পারি না। কিন্তু ব্ল্যাকহোলের মতো প্রচণ্ড শক্তিশালী মহাকর্ষ বল সমৃদ্ধ বস্তুর বেলায় বিষয়টি খুব সহজেই বোঝা যাবে।
নভোচারী যদি ব্ল্যাকহোলের দিকে পা দিয়ে সোজা ঝাঁপ দেন, তাহলে ঘটনা দিগন্ত পার হওয়া মাত্রই পায়ের অংশটুকু মাথার অংশ থেকে বেশি দ্রুত গতিতে প্রসারিত হতে থাকবে। এভাবে নভোচারীর পুরো শরীর বেঁকে-চুরে হয়ে যাবে নুডলস বা টুথপেস্টের মতো। এক পর্যায়ে শরীরের অণু-পরমাণু ভেঙে রূপান্তরিত হবে অতিপারমাণবিক কণার প্রবাহে। আর সে অবস্থাতেই যাত্রা শুরু করবে ব্ল্যাকহোলের কেন্দ্রের দিকে।
ব্ল্যাকহোলের কেন্দ্রের এই জায়গাটিকে বিজ্ঞানীরা বলেন ‘সিঙুলারিটি’ বা ‘অনন্য বিন্দু’। কারণ, এ বিন্দুতে ভেঙে পড়ে পদার্থবিজ্ঞানের প্রমিত মডেল। এ বিন্দুতে মিলেমিশে যায় আপেক্ষিকতা, মহাকর্ষ ও কোয়ান্টাম বলবিদ্যা, এমনটা-ই ধারণা বিজ্ঞানীদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।