অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সুপার কম্পিউটারের ক্ষমতা ব্যবহার করে কৃত্রিম উপায়ে মহাবিশ্বের সিমুলেশন তৈরি করেছে। জ্যোতির্বিদ্যা বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পর্যবেক্ষণ করার জন্য মিলিয়নের ওপর সিমুলেশন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে বিজ্ঞানীরা।
ব্ল্যাক হোলের যে বিষয়টি এখনো গবেষকদের জন্য রহস্য তা হচ্ছে কীভাবে, কখন এবং কেনো ব্ল্যাক হোল তৈরি হলো এবং তার বৃদ্ধি কোন উপায়ে হয় সেটি। ব্ল্যাক হোল যে কারণে সবথেকে বিস্ময়কর তা হচ্ছে এখান থেকে কোন বস্তু বা আলো বের হতে পারে না।
অ্যারিজোনা স্টুয়ার্ড অবজারভেটরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক এবং জাপানের ন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অবজারভেটরি (এনএওজে) এর প্রকল্প গবেষক পিটার বেহরুজি বলেছেন, ” আমাদের কাছে মনে হয়েছিল যে কীভাবে ব্ল্যাক হোল তৈরি হয়েছিল তা পরিমাপ করা অসম্ভব। তবে সিমুলেশন থেকে পাওয়া তথ্য অনেক কাজে লেগেছে। “
ব্ল্যাক হলে সৃষ্টির আগের মহাবিশ্ব নিয়েও বিজ্ঞানীদের অনেক আগ্রহ রয়েছে। মহাবিশ্বের লক্ষ লক্ষ কম্পিউটারের সিমুলেশন এর মাধ্যমে দেখা যায় যে, সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলগুলি তাদের হোস্ট করা ছায়াপথ এর মত একই হারে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
তবে প্রায় ২০ বছর ধরেই বিজ্ঞানীরা এ বিষয়কে সত্য মনে করলেও তা এখনো পর্যন্ত শতভাগ প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি। গ্যালাক্সি যেমন ছোট থেকে বড় হয় তেমনি ব্ল্যাক হোল বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। মহাবিশ্ব জুড়ে গ্যালাক্সির আচরণ ঠিক এমনই মনে হচ্ছে।
বিভিন্ন থিওরি দ্বারা তারা এসব সিমুলেশন ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছে। গবেষকরা এ প্রজেক্টরের নাম দিয়েছে ট্রিনিটি। এ প্রজেক্টর গবেষণার মূল বিষয় হচ্ছে ছায়াপথ. সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল এবং ডার্ক ম্যাটার। তবে ছায়াপথের সাথে ব্ল্যাক হোলের সম্পর্কের বিষয়টি বোঝা বিজ্ঞানীদের জন্য এখনো অনেক কঠিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।