জুমবাংলা ডেস্ক : স্বপ্নের পদ্মা সেতু সবশেষ স্প্যান বসানো হয়েছে বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর)। কে না চায় এমন ঐতিহাসিক দিনের সাক্ষী হতে! তাইতো সকাল থেকেই পদ্মার দুই পাড়ে ছিল উৎসুক মানুষের ভিড়। বিশাল এই কর্মযজ্ঞ এগিয়ে চলেছে দুর্দান্ত গতিতে। তবে এর কারিগরি দিক অনেকটাই অজানা সাধারণ মানুষের। ফলে নানা জিজ্ঞাসা রয়েছে মানুষের মনে। যার অন্যতম জিজ্ঞাসা, বড় ভূমিকম্প হলে পদ্মা সেতুতে কী ঘটতে পারে?
তবে আশার খবর হলো- বড়সড় ভূমিকম্পের কথা মাথায় রেখেই পদ্মা সেতুর সব কাজ এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। শুধু ভূমিকম্প নয়, বন্যা বা খর স্রোতকেও মোকাবিলা করতে সব আয়োজন রয়েছে পদ্মা সেতু প্রকল্পের।
জানা গেছে, স্প্যান বসানোর আগে ভূমিকম্প সহনীয় এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। এটা না থাকলে ভূমিকম্প যে এনার্জি নিয়ে স্ট্রাকচারকে হিট করত, এটা থাকায় সেই এনার্জি অনেকটা কমে যাবে। এখানে যে প্রযুক্তি বেজ আইসলিউশন ব্যবহার করা হয়েছে, এটাতে ভূমিকম্পের সময় ফাউন্ডেশন মুভ করবে কিন্তু ওপরের ব্রিজটা মুভ করবে না। নড়াচড়ার একটা ব্যবস্থা থাকবে। এটাকে পেনডুলাম বিয়ারিং বলে। সেটা ব্যবহার করা হয়েছে। এর সাহায্যে স্লাইড করতে পারবে। আবার ফিরে আসবে। বিশ্বে এটা অনেক জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এত বড় প্রকল্পে কখনো ব্যবহার করা হয়নি। এই প্রযুক্তির কারণে পাইলের সংখ্যা, পাইল ক্যাপের সাইজ কিছুটা কমানো গেছে।
এই প্রযুক্তি বানানোর পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। ডিজাইন অনুসারে এটি প্রায় ১০ হাজার টন লোড সামলাতে সক্ষম। কিন্তু বিশ্বে এ ধরনের পরীক্ষায় আমরা মাত্র ৮ হাজার টন লোডের জন্য পরীক্ষা করা যায়। বাকি অংশ স্কেল মডেলে পরীক্ষা করা হয়। এ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে খরচ প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলার কমে গেছে। অন্যথায় প্রতি পিলারে ৬টির বদলে ৮টি করে পাইলিংয়ের দরকার পড়ত।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে। আমি আট বছর সেতু বিভাগের সচিব ছিলাম। ফলে আমি এখনও পদ্মা সেতুর দেখভাল করে থাকি। এখন এটা দৃশ্যমান হলো। আমাদের জন্য এটা বিরাট অর্জন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।